ফাইল চিত্র।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশ ও তার পরেই সেই বইটি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের একটি উক্তি। যা নিয়ে রবিবার ছুটির দিনেও কিছুটা সরগরম রইল দেশ।
সীতারামন আজ ভি অনন্ত নাগেশ্বরন ও গুলজ়ার নটরাজনের লেখা যে বইটি প্রকাশ করেন তার নাম, ‘দ্য রাইজ় অব ফিনান্স: কজ়, কনসিকোয়েন্সেস অ্যান্ড কিয়োর’। তার পরেই বলেন, বর্তমানে বিশ্ব ও ভারতের অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা বুঝতে সাহায্য করবে ও সমস্যার সমাধান বাতলাবে এই বই। যা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, তা হলে অর্থমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিলেন যে সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি।
এ দেন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমি নিশ্চিত এই বই খুব জনপ্রিয় হবে। আরও জরুরি ব্যাপার হল, বইটি আমাদের পক্ষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হবে, যাঁরা নীতি তৈরির টেবিলে বসে আছি। দ্বিতীয়ত, এটির প্রাসঙ্গিকতা ও ভারতের বাজারে প্রকাশের এই সময়। আমরা এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জিং সময়ের মুখোমুখি হয়েছি।’’ বইটি পড়ার পক্ষে এটি আদর্শ সময় বলে তাঁর দাবি, বিশ্ব ও ভারতের অর্থনীতি এখন যে অবস্থার মুখে দাঁড়িয়ে আছে, তার প্রেক্ষিতে বইটি সমস্যার যে দাওয়াই বাতলেছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মন্ত্রীরা সাম্প্রতিক কালে বারবারই প্রমাণের চেষ্টা করেছেন অর্থনীতিতে সঙ্কট নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেরই প্রশ্ন, যাকে চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে হচ্ছে কেন্দ্রকে, তার ‘অসুখ’ হওয়ার কথা মানতে এত আপত্তি কেন! উল্টে নির্মলা বলেছেন, নতুন প্রজন্ম অ্যাপ-ক্যাবে চড়ছেন বলে গাড়ি বিক্রি কমেছে! রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আবার বলেছেন, দরকারই নেই বৃদ্ধির অঙ্ক কষতে গিয়ে মাথা খারাপ করার। শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারের দাবি, দেশে কাজ প্রচুর। অভাব আসলে দক্ষ প্রার্থীর।
আবার সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবতের সওয়াল, বেশি কথা বললেই বরং ক্ষতি অর্থনীতির। সব কিছুর উপরে এক দিনে তিনটি সিনেমার ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা মানেই অর্থনীতি চাঙ্গা, এই ‘তত্ত্ব আওড়ে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যদিও পরে সেই মন্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি।