প্রতীকী ছবি।
করোনার জেরে সমস্যায় পড়া সংস্থাগুলির ঋণ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তার পরেও পরিকল্পনামাফিক সেই ঋণ শোধ করা তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলে মনে করে ফিচ। মূল্যায়ন সংস্থাটির মতে, সফল ভাবে তা করতে না-পারলে অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) ভারে ধুঁকতে থাকা ব্যাঙ্কগুলির বোঝা আদতে আরও বাড়বে। যাতে ইন্ধন জোগাবে ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা থেকে অনাদায়ি ঋণ মুছে ফেলাও (রাইট অফ)।
ফিচ জানাচ্ছে, এটা ঠিকই যে পুনর্গঠিত ঋণ শোধ নিশ্চিত করতে সময়সীমা বেঁধেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রয়েছে নজরদারি ও জরিমানার ব্যবস্থাও। কিন্তু দেশের আর্থিক পরিস্থিতি অন্তত বছরখানেক খারাপ থাকারই আশঙ্কা। কেন্দ্রের থেকে আর্থিক ত্রাণ মেলার সম্ভাবনা কম। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি ১০.৫% কমতে পারে। পরের বছর প্রথম ত্রৈমাসিকের আগে অবস্থা শোধরাবে না। যার বিরূপ প্রভাব সংস্থাগুলির ব্যবসায় পড়তে পারে, যা ঋণ সময়ে শোধ করায় বাধা তৈরি করবে।
তার উপরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৮৫০০ কোটি ডলারের (৬.২ লক্ষ কোটি টাকা) এনপিএ মুছে ফেলেছে ব্যাঙ্কগুলি। যার ৮০% রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। এখন করোনার কারণে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। পুনর্গঠন হলে সংস্থাগুলির ঋণ আপাতত অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হবে না ঠিকই। ওই খাতে আর্থিক সংস্থান করার দায় থেকে রেহাই পাবে ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু এই পরিকল্পনা সার্থক ভাবে কার্যকর করতে না-পারলে ঝুঁকি থেকে যাবে বলেই মনে করছে ফিচ।