Supreme Court of India

ঋণ ‘প্রতারণাকারী’ তকমার আগে হোক শুনানি

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই ধরনের মামলায় তেলঙ্গানা হাই কোর্ট এবং গুজরাত হাই কোর্টের পরস্পরবিরোধী রায় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৯
Share:

ব্যাঙ্কের নির্দেশের সঙ্গে যাতে যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করা থাকে, সে নিয়েও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কোনও ঋণগ্রহীতাকে ‘প্রতারণাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে বলে স্পষ্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের এই ধরনের সিদ্ধান্তের পরে তদন্ত হয়। হতে পারে সাজা। ফলে এর সামাজিক প্রভাব রয়েছে। সে কারণেই অভিযুক্তকে শুনানির সুযোগ দেওয়া জরুরি। ব্যাঙ্কের নির্দেশের সঙ্গে যাতে যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করা থাকে, সে নিয়েও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই ধরনের মামলায় তেলঙ্গানা হাই কোর্ট এবং গুজরাত হাই কোর্টের পরস্পরবিরোধী রায় রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের একটি আবেদনের ভিত্তিতে এ দিনের রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হল।

এখন আসল ও সুদ ৯০ দিন বকেয়া পড়লে কোনও ঋণ অ্যাকাউন্টকে অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) তকমা দেওয়া হয়। ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে গ্রাহককে চিহ্নিত করা হয় ‘প্রতারণাকারী’ হিসেবে। এই পদ্ধতি মেনেই ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বি এস কোম্পানির ১৪০০ কোটি টাকার ঋণকে এনপিএ এবং গ্রাহককে ‘প্রতারণাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের গোষ্ঠী। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই সংস্থার রাজেশ আগরওয়াল। শুনানিতে স্টেট ব্যাঙ্কের বক্তব্য ছিল, গ্রাহকের দাবি মানতে গেলে দ্রুত এনপিএ চিহ্নিতকরণ এবং অনাদায়ি ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে। যে দ্রুততার কথা বলা হয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২০১৬ সালের নির্দেশিকায়। তবে তা মানতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement