প্রতীকী ছবি।
দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির কাঁধ থেকে অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) বোঝা কমিয়ে তাদের হিসেবের খাতা পরিষ্কারের লক্ষ্যে একটি সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থা তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ়ের অনুমোদন নিয়ে যা গত মাসেই যাত্রা শুরু করেছে মুম্বইয়ে। নাম ন্যাশনাল অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি (এনএআরসিএল) বা ব্যাড ব্যাঙ্ক। এ বারে সেই সংস্থার লাইসেন্সের আবেদন জানিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে নথিপত্র জমা দিল ব্যাঙ্ক মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)। সূত্রের খবর, আইবিএ-র জমা প্রস্তাব অনুযায়ী, ব্যাড ব্যাঙ্কটির পুঁজির অঙ্ক ৬০০০ কোটি টাকা। শীর্ষ ব্যাঙ্ক এক-দু’মাসের মধ্যে এই লাইসেন্স মঞ্জুর করতে পারে বলে ধারণা।
ব্যাড ব্যাঙ্ক আদতে একটি সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থা (এআরসি)। যা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এনপিএ কিনে নিয়ে সেই ঋণ উদ্ধার কিংবা বিক্রির চেষ্টা করবে। তাতে ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনই উদ্ধার হবে অনাদায়ি ঋণের বড় অংশ। চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে এই ধরনের একটি সংস্থা তৈরির প্রস্তাব করেছিল কেন্দ্র। সংস্থাটি পরিচালনা করবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির হাতে থাকবে ৫১% অংশীদারি। বাকিটা বেসরকারি ঋণদাতাদের হাতে। ১২% শেয়ার নিয়ে ‘লিড স্পনসর’ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কানাড়া ব্যাঙ্ক।
আগে সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থার লাইসেন্সের আবেদনের জন্য ন্যূনতম ২ কোটি টাকা পুঁজির লাগত। ২০১৭ সালে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তা বাড়িয়ে ১০০ কোটি করেছে। আইবিএ পরিচালিত ব্যাড ব্যাঙ্কটিও ১০০ কোটি টাকা প্রাথমিক পুঁজি নিয়ে লাইসেন্সের আবেদন জানিয়েছে। বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রকের সায় আদায়ের প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য পেশাদার সংস্থা নিয়োগ করেছে তারা। স্টেট ব্যাঙ্কের কর্তা পি এম নায়ারকে শীর্ষে রেখে তৈরি করা হয়েছে পর্ষদ।