প্রতীকী চিত্র।
করোনাকালে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দেশে কর্মসংস্থানের ছবিটা যে তার অনেক আগে থেকেই মলিন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির এই অভিযোগ বহু দিনের। এ বার গত পাঁচ বছরে ১.২৫ কোটি মহিলা রুটি-রুজি হারিয়েছেন বলে আঙুল তুলল তারা। সরকারি সমীক্ষাও জানাল, কোভিডের আঘাত লাগার আগেই শিল্পের মুনাফা কমছে।
অর্থনীতির রথের গতি কমে যাওয়ার জন্য কেন্দ্র অতিমারিকে দায়ী করে। কিন্তু বিরোধী দলগুলি সব সময়ই মনে করিয়ে দেয়, ২০২০ সালে মার্চের শেষে করোনা ছোবল দেওয়ার আগেই তা শ্লথ হয়েছিল। এ বার পরিসংখ্যান মন্ত্রকের বার্ষিক শিল্প সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিডের আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালে শিল্প ক্ষেত্রে মুনাফা কমেছে। একই ছবি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে। মনমোহন জমানার শেষ বছরে (২০১৩-১৪) মুনাফা কমেছিল। মোদী আমলে কমেছে টানা দু’বছর।
উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যানকে অস্ত্র করে আজ কংগ্রেসের অভিযোগ, কোভিডের আগে থেকেই অর্থনীতি সঙ্কটে। এতে মহিলারা সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার তোপ, গত পাঁচ বছরে ১.২৫ কোটি মহিলা রোজগার হারিয়েছেন। শুধু গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিলেই ২৫ হাজার জন। বিজেপি দাবি করে, মহিলারা বিপুল সংখ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেন। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, অর্থ ব্যবস্থায় মহিলাদের অংশীদারি ১৮শতাংশে নেমেছে। মাত্র ৯ শতাংশের কাছে রয়েছে রোজগারের ব্যবস্থা।
কোভিডের আগেই যে রোজগারের সুযোগ কমেছে, তার প্রমাণ বার্ষিক শিল্প সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালের তুলনায় দেশে ১০১৯-২০ অর্থবর্ষে কারখানার সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১.৭%। কারখানার কর্মী বেড়েছে মাত্র ২%। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে শিল্পে মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে কমে ৫.৫৬ লক্ষ কোটিতে নামে। ২০১৯-২০ সালে তা আরও কমে ৪.৬৭ লক্ষ কোটি টাকায় কমে এসেছে। আশার খবর, মূলধনী পণ্য বা কারখানার যন্ত্রাংশে লগ্নি ২০১৯-২০ সালে বেড়েছে প্রায় ২০%। দেশে নতুন লগ্নি মাপা হয় এর মাধ্যমে।