প্রতীকী ছবি।
দিন কয়েক আগেই বিশ্ব বাজারে ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দর ৮৬ ডলার পার করেছিল। তার পরে ৭৯ ডলারের নীচে নামলেও মঙ্গলবার রাতে এক ধাক্কায় উঠে যায় ৮২ ডলারের উপরে। ফলে তা আরও মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মহল। তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেক এবং তাদের সহযোগী দেশগুলিকে উৎপাদন বাড়িয়ে দাম কমানোর আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। এই অবস্থায় দামের দৌড় ঠেকাতে আমেরিকার পরিকল্পনায় নতুন কৌশল গ্রহণ করল তেল ব্যবহারকারী বড় দেশগুলি। তাদের মধ্যে ভারত, চিন ও জাপানও রয়েছে।
কী সেই কৌশল?
নিজেদের মজুত ভান্ডার থেকে দফায় দফায় অশোধিত তেল ছাড়বে এই সমস্ত দেশ। তাতে দেশের বাজারে জোগান বাড়বে। কিছুটা হলেও জল ঢালা যাবে দামে। রাশ টানা যাবে পণ্যমূল্যেও। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন, তাঁরা ছাড়বেন ৫ কোটি ব্যারেল তেল। ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেনের মতো দেশগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করেই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ভারতও জানায়, তারা ৫০ লক্ষ ব্যারেল তেল ছাড়বে। সূত্রের খবর, সাত-দশ দিনের মধ্যে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এর পরে যদি ওপেক নিজেদের কৌশল বদল করে ফের উৎপাদন ছাঁটাই করে, তা হলে দু’পক্ষের পদক্ষেপের মিলিত প্রভাব তেলের দরের উপরে কী ভাবে পড়বে?
পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের তিনটি জায়গায় ৫৩.৩ লক্ষ টন (৩.৮ কোটি ব্যারেল) তেল মজুতের ভান্ডার আছে ভারতের। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে ১৫ কোটি টন এবং পাদুরে ২৫ কোটি টন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ১৩.৩ কোটি টন। সেখান থেকেই তেল ছাড়া হবে। গত বছর অতিমারিতে তেলের চাহিদা কমায় উৎপাদন ছেঁটেছিল ওপেক। কিন্তু পরে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তা বাড়েনি। এর পরে গত সপ্তাহে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলে আমেরিকা।