ইরানের উপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তাই আপাতত সে দেশ থেকে আমদানি করা তেলের বকেয়া দাম চোকানো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এ নিয়ে কথা বলতে বৈঠকে বসেছিল অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। উপস্থিতি ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
কী ভাবে অন্যান্য ভুক্তভোগী দেশ (জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ইত্যাদি) এই সমস্যার মোকাবিলা করছে, তা নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এগোনো হচ্ছে।’’
এ দিকে সরকারি সূত্রের খবর, ইউরোর বদলে টাকায় ইরানের তেল কেনা যায় কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে ইউকো ব্যাঙ্ক বা আইডিবিআই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা মেটানো হতে পারে। এর আগে ইরানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইউকো ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা মেটানো হয়েছিল। এখন ইরানকে ইউরোপীয় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে তেলের দাম মেটায় ভারত।