কোনও কারণে হঠাৎ অশোধিত তেলের আমদানিতে সঙ্কট দেখা দিলে দেশে যাতে জোগানের অভাব না হয়, তার জন্য আরও দু’টি তেল মজুত ভাণ্ডার তৈরি করবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওড়িশার চান্ডিখোল ও কর্নাটকের পাদুরে তা তৈরি হবে। সরকার-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে।
ভাণ্ডার দু’টিতে তেল ধরবে ৬৫ লক্ষ টন। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘এই পরিকাঠামো তৈরিতে লগ্নির জন্য প্রস্তাব চাওয়া হবে।’’ বিশাখাপত্তনম, ম্যাঙ্গালোর এবং পাদুরে ইতিমধ্যেই মাটির নীচে তিনটি ভাণ্ডার আছে। তেল ধরে মোট ৫৩ লক্ষ টন। দু’বছর আগের চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে দেশে ১০ দিনের চাহিদা মেটানো যায়। নতুন ভাণ্ডার হলে আরও ১২ দিনের চাহিদা মিটবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে ইরান থেকে তেল কেনা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। ওপেকের উৎপাদন বৃদ্ধি কতটা কাজে দেবে তা নিশ্চিত নয়। এ অবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদি প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ শুরু করেছে কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতেও তেল উৎপাদন ও শোধনে লগ্নি করবে সৌদি আরবের সংস্থা অ্যারামকো এবং আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি।