Crude Oil

কিছুটা স্বস্তি তেলের দাম কমায়

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারতকে তেলের চাহিদার ৮৫% আমদানি করতে হয়। মূল্যবৃদ্ধিও অনেকটা নির্ভরশীল তার দামে। ফলে এই খবর দেশের পক্ষে স্বস্তির।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:২৮
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার আগে জো বাইডেন রাশিয়ার দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা এবং ১০০-রও বেশি তেলবাহী জাহাজে চাপিয়েছিলেন নিষেধাজ্ঞা। তাই সরবরাহ কমার আশঙ্কায় বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল বাড়তে বাড়তে পেরিয়ে যায় ৮০ ডলার। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বক্তৃতার পরে ফের পড়ছে দাম। নেমেছে ৭৯ ডলারে। আমেরিকার ডব্লিউটিআই ৭৫ ডলারের আশেপাশে ঘুরছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারতকে তেলের চাহিদার ৮৫% আমদানি করতে হয়। মূল্যবৃদ্ধিও অনেকটা নির্ভরশীল তার দামে। ফলে এই খবর দেশের পক্ষে স্বস্তির।

Advertisement

শপথ গ্রহণের পরে বক্তৃতায় ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, বাইডেন যে বিকল্প জ্বালানি চালিত যানবাহনের উপরে জোর দিয়েছিলেন, সেই নীতি থেকে তিনি সরছেন। কারণ, কোন ধরনের গাড়ি কিনবেন, সেটা ক্রেতার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। কিন্তু দেশের মাটির নীচে যে ‘তরল সোনা’ রয়েছে, তার উত্তোলনের গতি বাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘অতিরিক্ত খরচ এবং জ্বালানির দাম বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধির হার চড়েছে। তাই আমি জ্বালানি ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করব। উত্তোলন করব তেল।’’ একই সঙ্গে সেই জরুরি অবস্থার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেশে তেলের মজুত ভান্ডারগুলি ভরিয়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে।

রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা সত্যিই কার্যকর হলে বিশ্ব বাজারে দৈনিক তেল সরবরাহ ১০ লক্ষ ব্যারেল কমতে পারে। ফলে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার খবরে সবচেয়ে তৎপর হয়েছিল অন্যতম বৃহৎ তেল আমদানিকারী চিন এবং ভারত। আমদানির বিকল্প উৎস খুঁজতে শুরু করে। আশঙ্কার জেরে তেল দামি হচ্ছিল বিশ্ব বাজারে। এ বার দেখার তা কমার স্বস্তি কত দিন থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement