Business

ছোট শিল্পের সাহায্যে ত্রাণ প্রকল্পের আবেদন

সুরাহার আশায় বুক বেঁধেছিল শিল্পও। গোড়া থেকেই তারা বলছে, শুরুতে গরিব মানুষের জন্য অর্থ মন্ত্রকের ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ স্বাগত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি স্বাগত। সামান্য আশার ঝিলিক ২০ এপ্রিলের পরে ধীরে হলেও ধাপে ধাপে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর ইঙ্গিতেও। কিন্তু দেশে শিল্প তথা অর্থনীতির চাকা একেবারে বসে যাওয়া রুখতে এই প্রবল সঙ্কটের সময়ে সরকারকে অবিলম্বে ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানাল বণিকসভাগুলি। ফের দাবি উঠল ত্রাণ প্যাকেজেরও।

Advertisement

মঙ্গলবার রফতানি শিল্পের সংগঠন ফিয়ো-র প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার সরাফ জানান, “ব্যবসা তালাবন্ধ থাকায় এপ্রিলের মজুরি মেটানোর ক্ষমতা ছোট-মাঝারি রফতানি সংস্থাগুলির নেই।…বরাত নিয়ে সময়ে পণ্য পাঠাতে না-পারার মাসুলও গুনতে হবে তাদের।” তাঁর আক্ষেপ, এই অবস্থায় এ দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছু সুরাহা ঘোষণার আশা করেছিলেন তাঁরা। ইঙ্গিত, তা শুনতে না-পেয়ে কিছুটা হতাশই হতে হয়েছে তাঁদের।

সুরাহার আশায় বুক বেঁধেছিল শিল্পও। গোড়া থেকেই তারা বলছে, শুরুতে গরিব মানুষের জন্য অর্থ মন্ত্রকের ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ স্বাগত। কিন্তু এই কঠিন সময়ে শিল্প, বিশেষত ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলিকে ভাসিয়ে রাখতে ত্রাণ প্রকল্পের ঘোষণা করুক কেন্দ্র। নইলে টিকে থাকাই কঠিন হবে তাদের। কিন্তু তেমন প্যাকেজের কথা এ দিন নরেন্দ্র মোদী বলেননি। কংগ্রেসের প্রশ্ন, শিল্প তথা অর্থনীতিকে সঙ্কট থেকে টেনে তোলার দাওয়াই ওই বক্তব্যে কোথায়? কোথায় ছোট শিল্পের জন্য ত্রাণ প্রকল্প?

Advertisement

আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরতে চাই, বান্দ্রায় হাজারো পরিযায়ী শ্রমিকের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ

এক জন কর্মীকেও যাতে কোনও সংস্থা ছাঁটাই না-করে, বারবার সেই আর্জি জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার রসদ ছোট সংস্থা পাবে কোথায়, সে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকেই। বলা হচ্ছে, সরকারের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে সাধারণত খোলাখুলি অনেক কথাই বলে না শিল্প এবং বণিকসভা। কিন্তু অন্তত ছোট শিল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত ত্রাণ প্রকল্পের দেখা না-পেয়ে কিছুটা হতাশ তারা। যে কারণে তারা কেন্দ্রকে ফের ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছে। বণিকসভা সিআইআইয়ের পরামর্শ, এ জন্য তাদের ধার নেওয়ায় বন্ধকের নিয়ম শিথিল করুক কেন্দ্র। সাময়িক ছাড় দেওয়া হোক ঋণ শোধ থেকে। বহন করুক মজুরির দায়ের একাংশ। তাদের সব বকেয়া অবিলম্বে মেটাক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। সরকারি সহায়তার জন্য সওয়াল করেছে ফিকি, অ্যাসোচ্যাম, পিএইচডি চেম্বারের মতো বণিকসভাও।

আরও পড়ুন: ডিউটি আগে, লকডাউন শেষ হলে সদ্যোজাত মেয়েকে দেখব, বলছেন উত্তরপ্রদেশের কনস্টেবল

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement