প্রতীকী ছবি।
তিন সপ্তাহের লকডাউনে ভারতের অর্থনীতিকে কতটা ক্ষতি স্বীকার করতে হবে, তা নিয়েই চলছিল হিসেবনিকেশ। কিন্তু করোনা রুখতে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার আরও ১৯ দিন দেশে লকডাউন চলার কথা বলার পরে সেই ক্ষতি কিংবা আর্থিক বৃদ্ধির হিসেব ফের ওলটপালট হয়েছে। অনেকের ইঙ্গিত, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের অর্থনীতির বহর বাড়া দূর অস্ত্, এক বছর আগের তুলনায় সরাসরি কমবে। যা কার্যত নজিরবিহীন। যদিও আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) দাবি, এ বছর সারা বিশ্বে মন্দা অবশ্যম্ভাবী। তারই মধ্যে ভারত এবং চিন যৎসামান্য হলেও অন্তত বৃদ্ধির মুখটুকু দেখবে।
লকডাউনের জেরে দেশের প্রায় ৭০% আর্থিক কার্যকলাপ স্তব্ধ। এই অবস্থায় এ দিন লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণার পরেই ব্লুমবার্গ ইকনমিক্সের পূর্বাভাস, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি এক বছর আগের তুলনায় সরাসরি ২৫% কমতে পারে। ব্রিটিশ ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ়ের হিসেব, সব থমকে থাকার জেরে ভারতের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ১৭-১৮ লক্ষ কোটি টাকা।
এ দিনই আইএমএফ ফের জানিয়েছে, ভাইরাসের কারণে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পরে গভীরতম সমস্যার মুখোমুখি বিশ্ব অর্থনীতি। ২০২০ সালে তার জিডিপি কমতে পারে প্রায় ৩%। আগে ইঙ্গিত ছিল ৬.৩% বৃদ্ধির। আমেরিকা (-৫.৯%), জাপান (-৫.২%), ব্রিটেন (-৬.৫%), জার্মানি (-৭%), ফ্রান্স (-৭.২%), ইটালি (-৯.১%), স্পেনের (-৮%) মতো দেশের অর্থনীতিও পড়বে সঙ্কোচনের মুখে। মন্দার মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা-সহ বিভিন্ন অঞ্চলকে। তবে আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানান, এরই মধ্যে ভারত (১.৯%) এবং চিনের (১.২%) অর্থনীতি সামান্য বৃদ্ধি দেখবে। অর্থাৎ, ১৯৯১ সালে উদার অর্থনীতির যুগে পা রাখার পরে বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন হলেও, বৃহৎ অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধির খেতাব থাকছে ভারতেরই হাতে। তবে তাঁরা বলেছেন, এ বছরের মাঝামাঝি করোনার প্রকোপ কাটলে পরের বছর বিশ্ব ফের বৃদ্ধির মুখ দেখবে। উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাঙ্ক সাউথ এশিয়া ইকনমিক ফোকাস রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালে ভারতের বৃদ্ধির হার থাকবে ১.৫% থেকে ২.৮ শতাংশের মধ্যে।
আরও পড়ুন: গভর্নরদের সঙ্গে সংঘাত তীব্র ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: ভারতকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেবে আমেরিকা
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)