প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে জোর দিলেও, সেই বাজার তলানিতেই। শিল্প মহলের দাবি, এর চাহিদা বাড়াতে যে সহায়ক পরিবেশ দরকার ছিল, তা তৈরি করে দেওয়া হয়নি। যেমন, ক্রেতাদের সহজে এবং স্বল্প সুদে ধার দেওয়া, দীর্ঘ মেয়াদে শোধের সুবিধা কিংবা সাধারণ গাড়ির তুলনায় দাম খুব বেশি না-হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। তাই চড়া পেট্রলের খরচে জেরবার হয়ে অনেকে বৈদ্যুতিকে উৎসাহ দেখালেও, শেষ পর্যন্ত কিনছেন না। সমাধান হিসেবে কেন্দ্রের কাছে বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন এসএমইভি-র দাবি, ক্ষেত্রটিকে ঋণ পাওয়ার নিরিখে অগ্রাধিকারের তালিকায় আনা হোক। যে সুপারিশ করেছে নীতি আয়োগও।
এসএমইভি-র বক্তব্য, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ধার দিলে তাঁদের পুঁজি জোগাড় করতে সুবিধা হবে। কারণ, ঋণে অগ্রাধিকারের তালিকাভুক্ত ক্ষেত্রগুলির জন্য আর্থিক বরাদ্দে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সহজে ধার পাওয়ার সুবিধা মেলে। সুদও কম হতে পারে।
নীতি আয়োগ এবং দ্য রকি মাউন্টেন ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ধার দেওয়ার গতি কম। অথচ ২০৩০ সালে তার ঋণের বাজার বেড়ে হতে পারে ৩.৭০ লক্ষ কোটি টাকা। আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের মতে, যান দূষণ কমাতে ও বৈদ্যুতিকের বাজার বাড়াতে আর্থিক ক্ষেত্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রকি মাউন্টেনের এমডি ক্লে স্ট্রেঞ্জারের দাবি, এই গাড়ির পুনরায় বিক্রির মূল্য নিয়ে সংশয়ী ব্যাঙ্ক। তাই এ জন্য কম সুদে ঋণ দিতে চায় না। সেই জন্যই তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিক ঋণের তালিকায় যুক্ত করুক কেন্দ্র।