তেল সংস্থাগুলির দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর বৃদ্ধির জেরে খরচ বেড়েছিল। প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল পিছু ফের ৮০ ডলারের নীচে (৭৯.৩৪) নেমেছে। ডব্লিউটিআই ঠেকেছে প্রায় ৭৪ ডলারে। কিন্তু দাম কমার সুবিধা পৌঁছচ্ছে না ভারতবাসীর দরজায়। অশোধিত তেলের দাম চড়ার যুক্তিতেই এক সময় পেট্রল-ডিজ়েল লাগাতার বেড়ে দামি হয়েছিল। কিন্তু এখন বিশ্ব বাজারের পড়তি দামে সেগুলির সস্তা হওয়ার লক্ষণ নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির দাবি ছিল, অশোধিত তেলের দর যখন বিপুল বেড়েছিল, তখন পেট্রল-ডিজ়েল বেচে লোকসান বইতে হয়েছে তাদের। ফলে ব্রেন্ট সস্তা হওয়ার সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার আইসিআইসিআই সিকিয়োরিটিজ় জানিয়েছে, তারা অক্টোবর-ডিসেম্বরে পেট্রলে ক্ষতি মুছে লিটারে ১০ টাকা লাভ করলেও, ডিজ়েলে লোকসান হচ্ছে ৬.৫০ টাকা। সে ক্ষেত্রে চলতি অর্থবর্ষে আইওসি এবং এইচপিসি-র লোকসানের আশঙ্কা। না-লাভ-না-ক্ষতির জায়গায় পৌঁছতে পারে বিপিসি।
প্রায় আট মাস ধরে দেশে তেলের দর স্থির। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রলে লিটারে ১০৬.০৩ টাকা, ডিজ়েল ৯২.৭৬ টাকা। তেল সংস্থাগুলির দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর বৃদ্ধির জেরে খরচ বেড়েছিল। কারণ দেশে জ্বালানির ৮৫% আমদানি করতে হয়। উপদেষ্টা সংস্থাটি বলছে, ২৪ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে পেট্রল বেচে লিটারে রেকর্ড ১৭.৪০ টাকা, ডিজ়েলে ২৭.৭০ টাকা ক্ষতি হচ্ছিল সংস্থাগুলির। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে পেট্রল লাভে ফিরেছে।
রিপোর্ট জানাচ্ছে, সুদ, কর, অন্যান্যখরচ মিটিয়ে অক্টোবর-ডিসেম্বরে আইওসির ২৪০০ কোটি টাকা আয় হতে পারে। এইচিপিসি এবং বিপিসি-রক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ৮০০ কোটি ও ১৮০০ কোটি। তবে বছরের শেষে আইওসির ১৩০০ কোটি ও এইচপিসির৬০০ কোটি লোকসান হতে পারে। বিপিসি-ও লাভে ফিরতে পারবে না।