—প্রতীকী চিত্র।
দেশীয় পণ্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে একাধিক দেশ বা দেশের গোষ্ঠীর সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। যেমন, পরের সপ্তাহেই এ জন্য ব্রিটেনে যাচ্ছেন বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল। বিভিন্ন দেশও ভারতের বাজার ধরার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য চুক্তির খুঁটিনাটি দিকগুলি নিয়ে কথা বলতে আরও বেশি সংখ্যক সরকারি কর্তাকে বৈঠকে নিযুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে মোদী সরকার। এ জন্য সমন্বয় ও দক্ষতা বাড়াতে দফতরকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রক। তৈরির কথা ভাবছে গ্লোবাল ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজ়েশন।
এই ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেয় বাণিজ্য মন্ত্রক। তার সঙ্গেই যুক্ত থাকে রাজস্ব দফতর, ওষুধ, সার, রাসায়নিক, বস্ত্রক, ভারী শিল্প-সহ বিভিন্ন মন্ত্রক। থাকে শিল্পোন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরও। একটি চুক্তি হতে বেশ কয়েক দফায় কথা হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে। জোর দেওয়া হয় পণ্য-পরিষেবা আমদানি ও রফতানি, প্রযুক্তিগত সমস্যা, শুল্ক বিভাগ, আইন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে। যাতে লেগে যায় বেশ কয়েক বছর। ফলে এই পুরো সময়ে কথাবার্তা ঠিক মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে জরুরি মানবসম্পদও।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে দেশের মধ্যেই দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি লাগে। একাধিক বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের মধ্যে কথা বলতে হয়। ভারতের বাজার অন্য দেশের জন্য খুলে দেওয়া নিয়ে কথা হয় আমদানি-রফতানিকারীদের সঙ্গে। তার পরে সেই বার্তা নিয়ে যেতে হয় অন্য পক্ষের কাছে। উপরন্তু বর্তমানে একটি চুক্তির মধ্যে ই-কমার্স, শ্রম, পরিবেশ, লিঙ্গ বৈষম্যের মতো বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলারও দরকার হয়। ফলে আরও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনা জরুরি। তার উপরে একটি দেশের সঙ্গে কথা চলাকালীন কোনও সরকারি কর্তা বদলি হলে বা অবসর নিলেও অনেক সময়ে বৈঠক থমকে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কারণে কর্তা বদল হলেও যাতে আলোচনা এগোনো যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জাপান, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো ১৩টি দেশ বা গোষ্ঠীর সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করেছে ভারত। তার বাইরে ব্রিটেনের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, কানাডা, আমেরিকা ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের গোষ্ঠী-সহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে কেন্দ্র।