আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরো খুললেও, বেকারত্ব চড়া। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে সুদ বাড়াচ্ছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফাইল ছবি
চলতি অর্থবর্ষে ভারত দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ হবে বলে দাবি কেন্দ্রের। এক ধাপ এগিয়ে আগামী দশকে ভারতের ১১% বৃদ্ধির মুখ দেখা সম্ভব বলে দাবি করলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র। তাঁর বার্তা, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে দেশের বিপুল জনসংখ্যার সুবিধা কাজে লাগাতে হবে। বাড়াতে হবে কারখানার উৎপাদন ও রফতানি।
অতিমারি দেশের উৎপাদনে যে ধাক্কা দিয়েছিল, তার প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। তবে রফতানি বৃদ্ধির হার এখন কম। জুলাইয়ে ছিল ২ শতাংশের একটু বেশি। আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরো খুললেও, বেকারত্ব চড়া। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে সুদ বাড়াচ্ছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এর জেরে ঋণের খরচ এবং চাহিদা কমায় আর্থিক বৃদ্ধি চোট খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অগস্টের শেষে গত এপ্রিল-জুনের বৃদ্ধির হার প্রকাশ করবে কেন্দ্র। শীর্ষ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, তা হবে ১৬.২%। বলেছে, ২০২২-২৩ সালে তা হতে পারে ৭.২%।
শনিবার ভুবনেশ্বরে আরবিআই আয়োজিত ‘আজ়াদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচিতে পাত্র বলেন, জনসংখ্যা পরের বছরে ১৪৩ কোটিতে পৌঁছলে সব চেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত। যাঁদের গড় বয়স ২৮.৪ বছর। তাঁদের কাজে লাগালে, অর্থনীতির সামনে মাথা তোলা চ্যালেঞ্জ টপকাতে পারলে, উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানো গেলে পরের এক দশকে ১১% বৃদ্ধি হওয়া সম্ভব। যার হাত ধরে ২০৪৮ সালে নয়, ২০৩১-এই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত।
তবে এই জনসংখ্যার বোঝা হয়ে যাওয়া নিয়েও সতর্ক করেছেন পাত্র। প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন ও অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও আগে মূলত কাজ না-পাওয়া থেকে তৈরি হওয়া হতাশা এবং বৈষম্য নিয়ে আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছিলেন তাঁরা।
পাত্রের মতে, করোনায় যে রুজি-রোজগার হারিয়েছে, তা ফিরে পেতে বহু বছর লাগবে। কিন্তু এখন বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মানাতে উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। জরুরি দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা ও বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের ভাগ বাড়ানো।