উদ্বৃত্ত হবে ৮০ লক্ষ টন চিনি! প্রতীকী ছবি।
চিনি রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরও এক বছরের জন্য চালু রাখল কেন্দ্র। গত মে মাসে চালু হওয়া এই নিয়ন্ত্রণ চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত জারি থাকার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। শুক্রবার দেরিতে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেই নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চালু রাখল কেন্দ্রীয় সরকার।
গত মে মাসে চিনিকলগুলি রেকর্ড পরিমাণ পণ্য রফতানি করে। দেশের বাজারে সেই কারণে চিনির দামও হুহু করে বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে খাদ্যমন্ত্রক রফতানির পরিমাণকে এক কোটি টনে বেঁধে দেয়। শুধু তাই নয়, সরকারি অনুমোদন ছাড়া এক দানা চিনিও রফতানি করা যাবে না বলে সেই নিষেধাজ্ঞায় জানিয়ে দেওয়া হয়।
খাদ্যমন্ত্রকের অধীনে ‘ডাইরেক্টরেট অব সুগার’ এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করছে। রফতানির জন্য এই ডাইরেক্টরেটেরই অনুমোদন প্রয়োজন।
চলতি মরসুমে রেকর্ড চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের পরেও কেন্দ্র চালু রাখতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এনএসও-র তথ্য অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তর ভারতে আখের উৎপাদন দামের হিসাবে ৪২ শতাংশ বাড়লেও, দক্ষিণ ভারতে তা ৩২.৪ শতাংশ পড়েছে। চিনি যে হেতু আখ থেকেই তৈরি হয়, তাই আখের উৎপাদন বাড়লে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়। চিনিকলগুলির ধারণা আগামী মরসুমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির জন্য ৮০ লক্ষ টনের মতো চিনি উদ্বৃত্ত হবে।