প্রতীকী চিত্র।
চিনের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির পথে হাঁটেনি ভারত। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি চলার পরে কিছুটা তারতম্য দেখা যাচ্ছে সাউথ ব্লকের নীতিতে। সূত্রের খবর, তাইওয়ানের তরফে আসা বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাবে তাই এর আগে উদাসীনতা দেখালেও, এ বার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে মোদী সরকার।
দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে আগ্রহী তাইওয়ান। এতদিন ভারতই উচ্চবাচ্য করেনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ মাসের শুরুতে কেন্দ্র তাইওয়ানের তিনটি বেসরকারি সফটওয়্যার প্রযুক্তি সংস্থাকে ভারতে পাঁচ বছর স্মার্টফোন তৈরির জন্য ১০.৫ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির অনুমতি দিয়েছে। এই মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদনে বিনিয়োগ টানতে মরিয়া ভারত। তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি হলে সেই লক্ষ্যও পূরণ হতে পারে। তবে কবে আলোচনা শুরু হবে সিদ্ধান্ত হয়নি।
চিন বরাবর ভারতকে চাপে রাখতে অরুণাচল প্রদেশের তাস খেলেছে। ভারতও তিব্বত, তাইওয়ান নিয়ে সময়ে সময়ে চাপ তৈরি করেছে কার্যসিদ্ধির জন্য। কিন্তু চিনকে পুরোপুরি চটিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক জোট বাঁধেনি। ভারত-তাইওয়ান কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিনিধিত্বমূলক অফিসের মাধ্যমেই রক্ষা হয়। সে কারণেই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তা তাইওয়ানের পক্ষে বড় পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুন: চাহিদা কম হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বেশি