প্রতীকী ছবি।
নিজেদের মধ্যে কথা বলে এবং উত্তোলনে রাশ টেনে রেখে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম চড়া রাখছে ওপেক। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির এই কৌশলের পাল্টা হিসেবে এ বার তেলের প্রধান ক্রেতাদেরও সংগঠন (অয়েল বায়ার্স ক্লাব) তৈরি করতে চায় ভারত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এ জন্য ইতিমধ্যেই চিনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে তারা। শুরু হয়েছে কথা। শোনা যাচ্ছে, তেলের অন্যতম প্রধান দুই ক্রেতা দেশ হিসেবে দর কষাকষির সুবিধা পেতেই এই উদ্যোগ দিল্লি এবং বেজিংয়ের।
এপ্রিলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ফেরামের বৈঠকে এই প্রস্তাব তোলেন তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রাথমিক ভাবে রাজিও ছিল ভারত ও চিন। কারণ, বিপুল তেল কেনা সত্ত্বেও এশীয় দেশগুলির কাছে তুলনায় কম দর নেওয়া তো দূর, বরং বাড়তি ‘প্রিমিয়াম’ নেয় ওপেক দেশগুলি। এ বার তার বিরুদ্ধে কোমর বাঁধতে চায় ভারত-চিন। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চিনে যান আইওসি কর্ণধার সঞ্জীব সিংহ।
ওপেক-কে চাপে রাখতে চিন, ভারতের বড় ভরসা হতে পারে মার্কিন তেলের জোগান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তেলের দর নিয়ে এ দিনই ওপেক-কে এক হাত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটে আক্রমণ করেছেন তাদের।