আমেরিকার পণ্যে শুল্ক তুলতে গত কালই ভারতের উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পরে অবশ্য দু’পক্ষই কিছুটা নমনীয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে শীঘ্রই মন্ত্রী পর্যায়ের কথা হবে দু’দেশের মধ্যে। পরে এই বৈঠক প্রসঙ্গে টুইটে মোদী বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়ার পাশাপাশি বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে।’’
আজ বৈঠকের পরে বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানান, আমেরিকা জিএসপি প্রত্যাহারের পরেই যে ভারত কয়েকটি পণ্যে শুল্ক চাপিয়েছে, তা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে, শীঘ্র দু’পক্ষের বাণিজ্যমন্ত্রীদের মধ্যে কথা হবে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার ও অর্থ সচিব স্টিভেন মনুচিনের উপস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঘটনা হল, অতীতে মোদীকে ‘বন্ধু’ বললেও শুল্ক নিয়ে একাধিক বার ভারতকে কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। দামি বাইকে শুল্ক কমিয়ে ৫০% করা হলেও সন্তুষ্ট হননি তিনি। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ২৫% শুল্ক চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। জিএসপি-র আওতায় আমেরিকায় ভারতের বিনা শুল্কে কিছু পণ্য রফতানির সুবিধাও তোলা হয়। এর প্রত্যুত্তরে ২৮টি মার্কিন পণ্যে শুল্ক চাপায় বা বাড়ায় ভারত।
এ দিন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ইরান থেকে তেল আমদানির বিষয়টিও তুলেছেন মোদী। বলেছেন পশ্চিম এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা। এ দিকে, চিন জানিয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই ইরান থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাবে তারা। উল্লেখ্য, শুল্ক-যুদ্ধের সমাধানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা ট্রাম্পের। সেই বৈঠকও ফলপ্রসূ হবে বলে আশা তাঁর। তবে চিনের এই দাবিতে বৈঠকে প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা।