প্রতি মাসে অন্তত তিনজন করে ‘১০০ কোটিপতি’-র তালিকায় ঢুকে পড়ছেন ভারতে! হু হু করে বাড়ছে ভারতে ‘১০০ কোটিপতি’ সম্পত্তির মালিকের সংখ্যা!
২০১৯ সালে হুরুন গ্লোবাল-এর একটি সমীক্ষায় এমনই ধরা পড়ল। প্রতি বছরই যে এই হারেই ‘১০০ কোটিপতি’-র সংখ্যা বাড়ছে তা অবশ্য নয়, তবে ২০১৯ সালে নাকি ঠিক এমনটাই হয়েছে।
যার ফলে ‘১০০ কোটিপতি’-র তালিকায় সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে ভারত।
চিন এবং আমেরিকা যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চিনে মোট ১০০ কোটিপতির সংখ্যা ৭৯৯ জন।
আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকাতে ১০০ কোটিপতির সংখ্যা কত? ৬২৬ জন।
২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতে ১০০ কোটিপতির সংখ্যা ছিল ১০৪ জন। ২০১৯ সালে নতুন ৩৪ জন এই তালিকায় প্রবেশ করেছেন।
ফলে ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে মোট ‘১০০ কোটিপতি’-র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৮ জন। ওই সমীক্ষার সূত্র থেকেই তা জানা গিয়েছে।
এই ১০০ কোটিপতির তালিকায় আবার ভারতে শীর্ষস্থানে আছেন মুকেশ অম্বানী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছ’হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
হুরুন গ্লোবাল রিচ তালিকা ২০২০-তে মোট দু’হাজার ৮১৭ জনের নাম আছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই সম্পত্তির পরিমাণ অন্তত ১০০ কোটি ডলার।
এই তালিকা অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ২০১৯ সালে মোট ৪৮০ জন ১০০ কোটিপতি সম্পত্তির মালিক নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন।
এই তালিকায় সবচেয়ে উপরে আছেন আমাজন কর্তা জেফ বেজোস। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ এক লক্ষ ৪০ হাজার কোটি ডলার। ভারতের সবচেয়ে ধনী মুকেশ অম্বানী এই তালিকায় নবম স্থানে আছেন।
যদি শুধু ভারতকে ধরা হয়, তাহলে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন এসপি হিন্দুজা পরিবার। সম্পত্তির পরিমাণ দু হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে গৌতম আদানি (এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার), শিব নাদার (এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার) এবং লক্ষ্মী মিত্তল (দেড় হাজার কোটি ডলার)।
ভারতে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন ব্যাঙ্কার উদয় কোটাক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেড় হাজার কোটি ডলার। তিনি সারা বিশ্বে সবচেয়ে ধনী সেলফ মেড ব্যাঙ্কার।
সপ্তম আজিম প্রেমজি (এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার), অষ্টম সাইরাস পুনাওয়ালা (এক হাজার ২০০ কোটি ডলার) এবং নবম স্থানে রয়েছেন সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রি এবং তাঁর ছেলে শাপুর পালোনজি (এক হাজার একশো কোটি ডলার)।
এবং ভারতের দশম ধনী হলেন, ওয়ো প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আাগরওয়াল। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ একশো দশ কোটি ডলার।