প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির সঙ্কটে পুঁজির অভাব সত্ত্বেও সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত (এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম) ঋণের সুবিধা নিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়নি ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি (এমএসএমই) সংস্থাগুলির মধ্যে। ফলে তিন লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যও পূরণ হয়নি কেন্দ্রের। তাই সোমবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াল অর্থ মন্ত্রক। এমএসএমইগুলির জন্য আর্থিক ত্রাণ হিসেবে যেটির ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প চলবে। তবে তার আগেই তিন লক্ষ কোটির লক্ষ্য পূরণ হলে বন্ধ হয়ে যাবে। শিল্প মহলের একাংশ অবশ্য ইতিমধ্যেই ঋণ প্রকল্পটির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অনেক ছোট সংস্থার দাবি, এটির মেয়াদ বৃদ্ধির আদৌ কোনও প্রয়োজন নেই।
কেন্দ্রের হিসেব, এখনও পর্যন্ত ৬০.৬৭ লক্ষ সংস্থার জন্য ২.০৩ লক্ষ কোটি ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। বিলি হয়েছে ১.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা। তবে শিল্পের একাংশ মতে, এই প্রকল্প বিশেষত ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থাগুলির পক্ষে আদৌ তেমন সহায়ক হয়নি। শর্তের ফাঁকে বাদ গিয়েছে অনেকে। ব্যাঙ্ক গোড়ায় এত নথিপত্র ও ব্যক্তিগত গ্যারান্টির শর্ত চায় যে, শেষে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয় বহু সংস্থা। অনেকে পদ্ধতিগত জটিলতায় শেষে আর ঋণ পায়নি। সরাসরি ত্রাণের বদলে ফের ঋণের বোঝা বাড়ার ঝুঁকি নিয়েও একাংশের মনে সংশয় ছিল। বরং শিল্পকর্তাদের মতে, দুর্ভোগ কমাতে কর্মীদের বেতন খাতে সরাসরি ত্রাণ বা কম সুদে ঋণের সুযোগ দিলে বেশি কাজে লাগত। এর আগে ইঙ্গিত ছিল, ঘোষণা মতোই অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হবে প্রকল্পটির। কারণ আর হয়তো কারও এই সুবিধা দরকার নেই, তাই লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬৫% ঋণ মঞ্জুর হয়েছে।