প্রতীতী ছবি।
প্রত্যাশা ছিলই। তাকে সত্যি প্রমাণ করে নবরাত্রি এবং দশেরার সময়ে খুচরো বিক্রি বাড়াল মারুতি সুজ়ুকি ইন্ডিয়া, হুন্ডাই, টাটা মোটরসের মতো গাড়ি সংস্থা। একই সময়ে বিক্রি বেড়েছে কিয়া মোটরস, টয়োটা কির্লোস্কার মোটর, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা ও হোন্ডা কারস ইন্ডিয়ারও। পাশাপাশি, অক্টোবরে অধিকাংশ সংস্থার পাইকারি বিক্রিও (সংস্থা যে গাড়ি ডিলারদের বিক্রি করে) গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। তবে উৎসবের রেশ কাটলে বাজার কোন দিকে গড়াবে সে প্রশ্ন থাকছেই।
একাংশের মতে, করোনাকালে অনেকেই যে ভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গণপরিবহণ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন, তাতে যাত্রিগাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি প্রত্যাশিতই ছিল। তার উপরে যোগ হয়েছে উৎসবের মরসুমের স্বাভাবিক চাহিদা। তবে গত বছরে গাড়ির বাজারে যে ভাটার টান ছিল, সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে এ বারের বিক্রি বৃদ্ধি দেখে চূড়ান্ত রায় দেওয়া ঠিক নয়। উৎসবের মরসুমের পরে বিক্রি কোথায় দাঁড়ায় তাতে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষত যেখানে ভারী ও মাঝারি বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি কমেছে। আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়লে এগুলির বিক্রিও বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তাই অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি অবশ্য বেড়েছে। শিল্পের মতে, করোনার সময়ে ই-কমার্স সংস্থাগুলির মাধ্যমে পণ্যের সরবরাহ বাড়াই এর কারণ। কৃষির সঙ্গে যুক্ত গাড়ির বিক্রি প্রত্যাশিত ভাবেই বেড়েছে গত মাসে।
• নবরাত্রি ও দশেরার সময়ে শোরুম থেকে গাড়ি বিক্রি বেড়েছে অধিকাংশ সংস্থার।
• অক্টোবরে বেড়েছে পাইকারি বিক্রিও।
• উৎসব কাটলে এই চাহিদা বজায় থাকবে কি?
• বাণিজ্যিক গাড়িতে তেমন সাড়া নেই। তাই প্রশ্ন থাকছে শিল্পের অবস্থা নিয়ে।
নবরাত্রির সময়ে মারুতি সুজ়ুকির খুচরো বিক্রি ২৭% বেড়েছে। তা বেড়েছে হুন্ডাই (২৮%), টাটা মোটরস (৯০%), টয়োটার (১৩%)। গত মাসে পাইকারি বিক্রি বেড়েছে মারুতি (১৮.৯%), হুন্ডাই (৮.২%), হোন্ডা (৮.৩%)। মহীন্দ্রার ১৪.৫২% কমেছে।