—প্রতীকী ছবি।
গত পাঁচ বছরে কমেছে আর্থিক বৈষম্যের পরিমাণ। এমনটাই দাবি করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) সমীক্ষা রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ এবং ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের মধ্যে বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ের বৈষম্যের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৭৪.২ শতাংশ। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
গত শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এসবিআই। সেখানে দেশের কর ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ আর্থিক বছরে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫৬.৭ শতাংশ। যা গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্য দিকে ২০২১ অর্থবর্ষ থেকে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ কর্পোরেট আয়করের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসবিআই জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ ছয় শতাংশ বেড়েছে। আর তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কর্পোরেট করের পরিমাণ। তবে, ভারতের আর্থিক বৈষম্যকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে শুরু করে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত যার বক্ররেখাগুলিকে সমীক্ষা রিপোর্টে বিশ্লেষণ করেছে দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
এসবিআইয়ের দাবি, মূল্যায়ন বছর ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়ের বৈষম্যের তুলনা করা হয়েছে। সেখানে আয় বণ্টনের বক্ররেখায় একটি সুস্পষ্ট পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। লেখচিত্র অনুযায়ী নিম্নআয়ের বাসিন্দারা এই সময়সীমার মধ্যে তাঁদের আয় বৃদ্ধি করতে পেরেছেন। ‘‘আর্থিক বৈষম্য কমাতে সমাজের তৃণমূল স্তরে পৌঁছনোর চেষ্টা করছিল সরকার। সেই লক্ষ্যে যে সাফল্য এসেছে তা পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে।’’ সমীক্ষা রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে।
২০১৪ অর্থবর্ষে বছরে মোট জনসংখ্যার ৩১.৮ শতাংশের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। যা ২০২১ আর্থিক বছরে ১২.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ এই সময়সীমার মধ্যে জনসংখ্যার ১৯ শতাংশের আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আয়করের নিরিখে এত দিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত ও কর্নাটকের বাসিন্দারা প্রথম স্থানে ছিলেন। সামগ্রিক ট্যাক্স ফাইল বেসে এই রাজ্যগুলির লেখচিত্রে পতন দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব ও রাজস্থানের বাসিন্দাদের আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।