প্রতীকী ছবি
করোনায় বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঘটনাও। যা সামলাতে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি হিমশিম খাচ্ছে বলে সমীক্ষায় জানাল ডেলয়েট ইন্ডিয়া। শুধু তা-ই নয়, আগামী দিনেও এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেই মনে করে তারা।
গত সপ্তাহে নো ইয়োর কাস্টমার বা কেওয়াইসি-র নাম করে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগ সামনে এসেছে। কার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়া বা লেনদেন বন্ধ হতে পারে বলে একই ধরনের ফোন পাচ্ছেন আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে ডেলয়েটের মতে, আগামী দু’বছরে বাড়ি থেকে কাজ আরও বৃদ্ধি পাওয়া, শাখায় না-গিয়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেওয়া এবং ঠিক ব্যবস্থার অভাবে আগে থেকে ঝুঁকি চিহ্নিত করতে না-পারা সমস্যা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৭০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে করা এই সমীক্ষায় ৭৮ শতাংশই বলছে ডিজিটাল পরিষেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি জালিয়াতি বেড়েছে। ৫৩ শতাংশের মতে, খুচরো লেনদেনের ক্ষেত্রে গত দু’বছরে ১০০টির বেশি প্রতারণার ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে তারা। আগের সমীক্ষার তুলনায় যা ২৯% বেশি। খুচরো বাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে গড়ে ২০টি করে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছে ৫৬%।
তথ্য চুরি, সাইবার ক্রাইম, তৃতীয় পক্ষের দ্বারা হওয়া জালিয়াতি, ঘুষ, দুর্নীতি এবং জাল নথির মতো ঘটনাই বেশি ঘটে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। পাশাপাশি, ঋণ জালিয়াতি (২৪%), মোবাইল বা নেট ব্যাঙ্কিং প্রতারণা (১৪%), তথ্য বা পরিচয় চুরি (১৩%) এবং ফিশিং বা তথ্য হাতিয়ে জালিয়াতি (৯%) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
ডেলয়েটের অন্যতম কর্তা কে ভি কার্তিক বলেন, ডিজিটাল লেনদেনে গ্রাহকের বোঝা কমেছে। কিন্তু তার সঙ্গে যে ঝুঁকি বেড়েছে, বর্তমান ব্যবস্থায় তা যোঝা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একই কথা জানিয়ে অপর কর্তা নিষ্কাম ওঝার মতে, অতিমারির মধ্যে খুব দ্রুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বদলের সঙ্গে মানাতে হয়েছে। ফলে লেনদেনের ক্ষেত্রে যতটা বদল হয়েছে, ততটা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। ফলে ঝুঁকি যাচাই হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন থাকছে। বিশেষত যখন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকই বলছেন, বছরে একবার ঝুঁকি যাচাইয়ের কথা।