—প্রতীকী চিত্র।
২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতির মাপ হতে পারে ৭.৩ লক্ষ কোটি ডলার। সে ক্ষেত্রে তা জার্মানি এবং জাপানকে ছাপিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসতে পারে। এশিয়ায় হতে পারে দ্বিতীয়।
আজ এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স তাদের রিপোর্টে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে। একই দিনে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ জয়ন্ত আর বর্মার বক্তব্য, দু’চার মাস আগেও ভারতীয় অর্থনীতি যে জায়গায় ছিল, এখন পরিস্থিতি সেই তুলনায় ইতিবাচক। তবে তার বৃদ্ধি যে মোটেই সুষম নয় সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথতা এবং তেলের দাম সম্পর্কে ঝুঁকির কথাও। অতিমারির জেরে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিশ্বের পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতিও সঙ্কুচিত হয়েছিল। তবে তার পর থেকে বৃদ্ধি ধারাবাহিক। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের পূর্বাভাস, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশর জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.২-৬.৩%। যা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসের (৬.৫%) চেয়ে কম।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) বেড়েছে। কর্মী বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিপুল যুব সম্প্রদায়। শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা, আয় এবং কেনাকাটা বাড়ছে। এই শর্তগুলিই আগামী সাত বছরে ভারতকে ৩.৫ লক্ষ কোটি থেকে ৭.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে দিতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতিমারির পরে শহরের অর্থনীতি অনেকটা ঘুরে দাঁড়ালেও গ্রামীণ অর্থনীতি তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। বর্ধিত সম্পদের অসম বণ্টন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, জিডিপির বৃদ্ধি হলেও তার বড় অংশ গিয়েছে বিত্তশালীদের হাতে। অর্থনীতি সম্পর্কে আশার কথা শুনিয়ে আজ বর্মাও জানান, জনসংখ্যার একাংশে খরচের ক্ষমতার উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে দেশকে। সেই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার জন্য ধাক্কা খাচ্ছে আমদানি-রফতানি।