Maruti Suzuki

Maruti Suzuki: বৈদ্যুতিক নয়, মারুতির লক্ষ্য সিএনজি

এ দিকে, অর্থনীতির ঝিমুনি এবং তার পরে করোনার জেরে গত কয়েক বছর ধরেই ধাক্কা খাচ্ছে দেশের গাড়ি শিল্প।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এখন তো নয়ই, চাহিদা ও পরিকাঠামোর অভাবে আগামী চার বছরেও দেশের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার কথা তারা ভাবছে না বলে জানাল মারুতি-সুজ়ুকি। বদলে ক্রেতা চাহিদা মেটাতে সংস্থা জোর দেবে সিএনজি গাড়ি তৈরিতে। এ জন্য তাদের আরও কিছু গাড়ির সিএনজি মডেল আনার কথাও ভাবছে তারা।

Advertisement

তেলে আমদানি নির্ভরতা কমাতে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার সওয়াল করছে মোদী সরকার। বিভিন্ন আলোচনা সভা, সম্মেলনে সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বার বারই বলতে শোনা যাচ্ছে এ জন্য সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনে বাধ্য করার কথা। অথচ শিল্প মহল বলছে, এখনও সে জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত নয়। এই ক্ষেত্রের জন্য নেই নির্দিষ্ট নীতিও। ফলে আগে তার ব্যবস্থা করা জরুরি।

এ দিকে, অর্থনীতির ঝিমুনি এবং তার পরে করোনার জেরে গত কয়েক বছর ধরেই ধাক্কা খাচ্ছে দেশের গাড়ি শিল্প। এখন তাদের সঙ্কট বাড়াচ্ছে সেমিকনডাক্টর চিপের অভাব ও কাঁচামালের চড়া দর। যে কারণে ১.১৬ লক্ষ গাড়ি কম তৈরি করতে পেরেছে মারুতি। ফলে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মুনাফা ৬৬% কমে হয়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা। এমনকি গত বছরের এই সময়ের চেয়ে কমেছে গাড়ি বিক্রিও। সারা বছরেও বিক্রি বৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে পৌঁছবে না বলে ধারণা সংস্থার।

Advertisement

এই ফল ঘোষণা করতে গিয়েই বুধবার এক প্রশ্নের উত্তরে মারুতির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার সিদ্ধান্ত স্থির হয় বাজারে চাহিদার ভিত্তিতে। দেখতে হবে মাসে যেন কমপক্ষে ১০,০০০টি গাড়ি বিক্রি হয়। কিন্তু, বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, চার্জিং পরিকাঠামো, বিদ্যুতের সরবরাহের মতো নানা বিষয় নির্ভর করে তৃতীয় পক্ষের উপরে। ফলে ক্রেতার খরচের বিষয়টি গাড়ি সংস্থার হাতে থাকে না। তাঁর দাবি, ‘‘কখন বৈদ্যুতিক গাড়ি আনা হবে, সেটা স্থির করবে মূল সংস্থা জাপানের সুজ়ুকি মোটর কর্পোরেশনই। ...তবে যদি কোনও সময়সীমা দিতেই হয়, তা হলে আমি বলব সেটা ২০২৫ সালের আগে নয়।’’ এমনকি এই ধরনের গাড়ির জন্য সরকারের আনা উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পও তাদের মত বদলাতে পারবে না বলে
জানিয়েছেন তিনি।

তার উপরে ইতিমধ্যে মারুতির হাতে থাকা ২ লক্ষ বরাতের মধ্যে সিএনজি গাড়িই বেশি। ফলে আগে সেই চাহিদা মেটাতে সিএনজি গাড়ি উৎপাদনেই জোর দেবে মারুতি। সংস্থার এমডি-সিইও কেনিচি আয়ুকায়া বলেন, তা ছাড়াও আগামী দিনে আরও বিভিন্ন মডেলের সিএনজি গাড়ির আনার পরিকল্পনাও ছকছেন সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement