২০২১ শুরু হয়েছিল নতুন আশা, নতুন প্রত্যাশার সঙ্গে। কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রায় প্রত্যেকই বুঝতে পেরেছে পরিবারের এবং ঘরের গুরুত্ব। কেউ কেউ বসবাসের জন্য, আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র দাম কম থাকায় বিনিয়োগের উপায় হিসেবে বাড়ি কিনে রাখতে চাইছেন। বাজার পরে যাওয়ার কারণে নির্মাতারাও প্রচুর পরিমানে ডিসকাউন্ট দিতে চাইছেন শুধুমাত্র ফ্ল্যাটগুলি বিক্রি হওয়ার তাগিদে।
সে যাই হোক না কেন, এখনও প্রচুর মানুষ রয়েছেন যাঁরা তাঁদের স্বপ্নের বাড়ির মালিকানার আকাঙ্খা পূরণ করতে চাইছেন অথচ বুঝতে পারছেন না এটাই ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার সঠিক সময় কিনা। এখন দু'টি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। অর্থনিতী ধীরে ধীরে স্থিতীশীল হচ্ছে। পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলিও খুব কম রেটে লোন দিচ্ছে। এই সময়ে বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত মানুষকে আর্থিকভাবে স্থিতীশীল করে রাখবে। নগরীকরণ ও সাশ্রয়ী বন্ধক হারের কারণে ২০২২-২৬ সালের মধ্যে ভারতীয় হোম লোন বাজারে ২২% সিএজিআর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনীতির বৃদ্ধি এবং উন্নয়নে রিয়েল এস্টেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেই কারণেই হোম লোনের বিভাগে সরকার নতুন উন্নয়নের রূপরেখা নিয়ে আসছে।
নিম্নমুখী রেপো রেট: আরবিআই রেপো রেটের হারকে কমিয়ে দেওয়ায় এই মুহূর্তে হোম লোন মাত্র ৭ শতাংশ। যা হোম লোন গ্রহীতাদের জন্য সুখবর। এতে ইএমআই-ও কম পড়বে। যদিও এই কম রেট শুধুমাত্র সেই সব গ্রাহকদের জন্যই প্রযোজ্য যাদের ক্রেডিট স্কোর ৭০০-৮০০ এর মধ্যে রয়েছে।
অনলাইনে হোম লোন প্রক্রিয়া: হোম লোনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে বিভিন্ন লোন প্রদানকারী ইনস্টিটিউশনগুলি প্রতিদিন নতুন নতুন পন্থা নিয়ে আসছে। অনলাইনে লোন অ্যাপ্লিকেশনের সুবিধা চালু করা হয়েছে। যার ফলে লোন বিতরণে অনেক দ্রুত হয়েছে।
লোন গ্রহণকারী ব্যক্তিরা সেই সমস্ত প্রোডাক্টকেই পছন্দ করে যেগুলি অপেক্ষাকৃত কম সময় নেয়। প্রযুক্তির যুগেও তাই অনেকেই অনলাইনে হোম লোন কেনাকে বেশি পছন্দ করে।
এর আগে হোম লোন আবেদনের প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ছিল। লোন গ্রহণকারীকে প্রচুর পরিমাণে ডকুমেন্টস দেওয়ার প্রয়োজন পড়ত। এর মধ্যে ছিল চেকলিস্ট তৈরি করা, কেওয়াইসি জমা করা, সেই সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত ও তার ফটোকপি জমা ইত্যাদি।
যদিও হোম লোনের আবেদন পদ্ধতি সহজ করার জন্য সাম্ভাব্য গ্রহীতাদের জন্য ব্যাঙ্ক এবং ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলি বিভিন্ন অনলাইন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। যেমন পিএনবি এর এস— হোম লোন আবেদনের সবথেকে সহজ প্ল্যাটফর্ম।
এখন হোম লোনের আবেদন যেন জলের মতোই সহজ। বলা বাহুল্য অনলাইন শপিংয়ের মতো বাড়ি বসে এক ক্লিকেই হয়ে যাবে সমস্ত সমস্যার সমাধান। এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরির মূল কারণই হল যাতে লোন গ্রহীতারা অত্য়ন্ত সহজে, দ্রুত গতিতে, নিরাপদভাবে লোনের আবেদন করতে পারে।
লোন আবেদনের পরে পিএনবি হাউজিং-এর মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি প্রতিটি পর্যায়ে গ্রাহকদের কাছে একটি স্বয়ংক্রিয় এবং রিয়েল-টাইম তথ্য সরবারহ করে। লোন অ্যাপ্লিকেশনের গোটা প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করা হয়। অনলাইন কেওয়াইসি, ইনকাম প্রুফ, ওটিপির দ্বারা ভেরিফিকেশন, এবং ই-সিগনেচার ইত্যাদি সমস্ত ফিচার রয়েছে। এমনকী ক্রেডিট কার্ড বা ই-ওয়ালেটের দ্বারা প্রসেসিং ফি প্রদান এবং সাক্ষর সহ ই-অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম জমাও দেওয়া যায়।
অন্যদিকে, যাঁরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে দুর্বল, তাঁদের জন্য পিএনবি হাউজিং-এর একটি সাপোর্ট টিমও রয়েছে। অ্যাপ্লিকেশনের গোটা প্রক্রিয়ায় এই সাপোর্ট টিম সবসময় গ্রহীতাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
অনলাইনে লোন অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়াকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে পিএনবি হাউজিং ১০০০০ টাকার গিফট ভাউচারের সঙ্গে আরও বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন লোনের মেয়াদ থেকে শুরু করে, ৯০ শতাংশ লোন, কোনও চার্জ ছাড়াই প্রি-পেমেন্ট ইত্যাদি।
ব্যাঙ্ক এবং ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউটগুলি বর্তমানে অত্যন্ত কম ইন্টারেস্ট রেটে লোন অফার করছে। পাশাপাশি, লোন আবেদনের প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ব্যবস্থা নিয়ে এসে গোটা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলা হয়েছে। যদি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার কোনও পরিকল্পনা থাকে, তবেই এটা সব থেকে ভাল সময়। তবে বাড়ি কেনার আগে সবর্দাই কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করুন।
বিশদে জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে - https://www.pnbhousing.com/