প্রতীকী ছবি।
ভারত-সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যখন করোনার সঙ্গে মোকাবিলার পরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন তাকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সংক্রমণের জেরে চিনের কোনও কোনও জায়গায় ফের লকডাউন। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ শীর্ষক রিপোর্টে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা ফের ধাক্কা খেয়েছে। তার জেরে মূল্যবৃদ্ধি ঝাঁঝই হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃহত্তম সমস্যা। সব কিছু মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ফের বড়সড় সমস্যায় পড়তে চলেছে। যার প্রভাব এড়িয়ে থাকতে পারবে না ভারতও। যদিও খোয়াতে হবে না দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতির শিরোপা।
এ দিন চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৮০ বেসিস পয়েন্ট ছেঁটে ৮.২ শতাংশে নামিয়েছে আইএমএফ। ২০২৩-২৪ সালের পূর্বাভাস ৭.১% থেকে কমিয়ে করেছে ৬.৯%। জানিয়েছে, চলতি খাতের ঘাটতি পৌঁছে যেতে পারে ৩.১ শতাংশে। যা গত অর্থবর্ষে ১.৫% ছিল। আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ টুইট করে আরও জানান, ২০২২ সালে বিশ্বের জিডিপি বাড়তে পারে ৩.৬% হারে। আগে পূর্বাভাস ছিল ৪.৪%।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ পূর্ব ইউরোপে মানবতার বড় সঙ্কট তৈরি করেছে। দেশ ছেড়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। সঙ্কুচিত হতে পারে দুই দেশের অর্থনীতিই। কিন্তু সমস্যার এখানেই শেষ নয়। রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০২২ সালে আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ বিন্দু কম হতে পারে মস্কোর জ্বালানির উপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় ইউনিয়নের। রাশিয়ার তেল, গ্যাস, ধাতু এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম ও ভুট্টার সরবরাহের অভাবে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। ভুগবেন নিচু আয়ের মানুষ।