—ফাইল চিত্র।
লকডাউনে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার (আইআইএমসি) ক্যাম্পাসে আটকে পড়া চার পড়ুয়ার কাছ থেকে কর্তৃপক্ষের চড়া হারে থাকার খরচ চাওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক বেঁধেছে। পড়ুয়া, প্রাক্তনী ও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, এক বছরের এমবিএ পাঠ্যক্রমের (এমবিএএক্স) ওই পড়ুয়াদের ৫ এপ্রিলের পর থেকে দৈনিক ৫০০ টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, লকডাউনে ক্যাম্পাসে থেকে যেতে বাধ্য হওয়া পড়ুয়ার কাছে কী ভাবে প্রায় বাজারদরে থাকার খরচ চাইলেন কর্তৃপক্ষ?
আইআইএমসি-র ডিরেক্টর অঞ্জু শেঠ অবশ্য এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ওই পড়ুয়াদের টাকা দিতে হবে না। ক্যাম্পাস ছাড়তেও বাধা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা যাতে কোনও সমস্যায় না-পড়েন, ব্যক্তিগত ভাবে তা খেয়াল রাখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে কর্তৃপক্ষ যে কখনওই ওই পড়ুয়াদের কাছে ওই ভাড়া চাননি, বিবৃতিতে এমন কথাও বলা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ৫ এপ্রিলের সমাবর্তন পিছিয়ে দিলেও, পড়ুয়াদের হস্টেল খালি করতে বলা হয়নি। চাকরি সংক্রান্ত ইন্টারভিউ না-হওয়ায় এবং লকডাউনে ওই চার জন-সহ অন্যান্য পাঠ্যক্রমেরও আরও কিছু ছাত্র ক্যাম্পাসে আটকে পড়েন। ২৩ মে হঠাৎ ওই চার জনকে জানানো হয়, ডিরেক্টরের নির্দেশ মতো ৫ এপ্রিলের পর থেকে তাঁদের সেখানে থাকতে হলে দৈনিক ৫০০ টাকা দিতে হবে। শুধু মার্চের মাঝামাঝি থেকে ওই চার্জ মকুব করছেন কর্তৃপক্ষ। বিস্মিত শিক্ষক, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের প্রশ্ন, মার্চের মাঝামাঝি থেকে ৫ এপ্রিল, অর্থাৎ সমাবর্তন পর্যন্ত সমস্ত খরচ তো পাঠ্যক্রমের খরচেই ধরা থাকে। তা হলে তা মকুবের কথা আসে কী করে? অভিযোগ, পড়ুয়াদের ওই ভাড়ার টাকা পরে মেটানোর মৌখিক আশ্বাসও দিতে হয়েছে।