দেশে এখন চলছে আনলকডাউনের প্র্রক্রিয়া। কিন্তু করোনার এই আবহে অনেকেই গণপরিবহণ এড়িয়ে যেতে চাইছেন। সে জন্য বাইক, সাইকেল ইত্যাদির ব্যবহার প্রচুর বেড়েছে। যার জেরে বেড়েছে চাহিদা।
সেই চাহিদা পূরণে ভারতের বাজারে এলো নতুন এক ইলেকট্রিক বাইক। সৌজন্যে হায়দরাবাদের স্টার্টআপ সংস্থা আটুমোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই আটুম ১ ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অটোমেটিক টেকনোলজি দ্বারা অনুমোদিত। এর দাম মাত্র ৫০ হাজার টাকা।
এই ইলেকট্রিক বাইকে রয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। সেই ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ৪ ঘণ্টা। এক বার সম্পূর্ণ চার্জ দিলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এই বাইকে যাওয়া যাবে বলে দাবি প্রস্তুতকারক সংস্থার।
তবে এই ইলেকট্রিক বাইক উচ্চগতিসম্পন্ন নয়। এর সর্বোচ্চ গতি ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
আটুম ১ বাইকের ব্যাটারির ওয়ার্যান্টি রয়েছে দু’বছর। থ্রি-পিন সকেটের মাধ্যমে রিচার্জ হবে ব্যাটারি।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ করতে বিদ্যুত্ খরচ হবে এক ইউনিটের একটু বেশি। অর্থাৎ মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকা খরচে যাওয়া যাবে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এর সবথেকে বড় সুবিধা হল, এই ইলেকট্রিক বাইক কিনলে নেই কোনও রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা। লাগবে না লাইসেন্সও।
বাজারের আর পাঁচটা ইলেকট্রিক বাইকের থেকে আটুম ১ দেখতে অনেকটাই আলাদা। এর লুকস অনেকটা বাইকের মতো।
সেই সঙ্গে এতে থাকছে চওড়া টায়ার ও অ্যাডজাস্টেবল হ্যান্ডেল। এর সিটের উচ্চতা মাটি থেকে কম থাকছে। তাই কম উচ্চতার ব্যক্তিও ভাল ভাবে বসতে পারবেন আরামদায়ক সিটে।
ডিজিটাল ডিসপ্লের পাশাপাশি এলইডি লাইট থাকবে হেডলাইটে। ইন্ডিকেটরের ডিজাইন আকর্ষণীয়। লাল, নীল, কালো ছাড়াও বেশ কয়েকটি রঙের মডেল রয়েছে আটুম ১-এ।
বছরে ১৫ হাজার বাইক তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আটুমোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড। তবে আপাতত তৈরি করা হবে ১০ হাজারটি বাইক।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দশেরা ও দীপাবলির সময় থেকেই বাজারে পাওয়া যাবে এই পরিবেশবান্ধব বাইক।
বাজারে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রিক বাইকের থেকে এর দাম অনেকটাই কম। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কম দামের এই ইলেকট্রিক বাইক বাজারে বেশ সাড়া ফেলবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।