—প্রতীকী চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৩ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনএসও)। কিন্তু আয়ের ভিত্তিতে কষা হিসাবের সঙ্গে ব্যয় নির্ভর হিসাবের পরিসংখ্যানগত ফারাক (স্ট্যাটিসটিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি) ২.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের বক্তব্য, ২০২২-২৩ এবং ২০২১-২২ সালে এই ফারাক ছিল যথাক্রমে (-) ৩.৮ লক্ষ কোটি ও (-) ৪.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয়ের থেকে খরচ বেশি। সেই হিসাবে এ বারের অনুমানে আয়ের নিরিখে জিডিপি বৃদ্ধির হার বেশি হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, আয় এবং খরচ— এই দুইয়ের ভিত্তিতে করা দুই পদ্ধতির হিসাব সাধারণত সব সময়ে মেলে না। তথ্য পেতে দেরি হওয়া-সহ নানা কারণে তফাত থেকে যায়। সেটাই পরিসংখ্যানগত ফারাক। তবে অন্য অংশ এত বেশি ফারাক নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার সওয়ালও করেছেন।
এই অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেও বৃদ্ধির হিসাবের ক্ষেত্রে এই ফারাক নিয়ে বিরোধী শিবিরের তোপের মুখে পড়েছিল মোদী সরকার। অনেকেরই অভিযোগ ছিল, আয়ের ভিত্তিতে জিডিপি-র হিসাব করায় তা বেশি বলে মনে হচ্ছে। আদতে তা অনেক কম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্র। সেই সময়েই অর্থনীতিবিদদের একাংশের মত ছিল, আয় এবং খরচ, দু’দিক থেকে বিচার করার পদ্ধতি প্রয়োগ করে হিসাব করা হোক। সে ক্ষেত্রে হয়তো বৃদ্ধির হার কমে যাবে। তবে পরিসংখ্যানের আড়ালে বাস্তব পরিস্থিতি চাপা পড়ে যাবে না।