আগের বছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি মোট লোকসান গুনেছিল ১.৩ লক্ষ কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের দাবি ছিল, অনুৎপাদক সম্পদ খাতে সংস্থান বাড়িয়ে খাতা পরিষ্কার করায় দ্রুত ফিরবে সুদিন। সেই আশায় জল ঢেলে রেটিং সংস্থা ইকরার সমীক্ষা জানাল, এই অর্থবর্ষেও ক্ষতির বোঝা থেকে রেহাই পাবে না তারা। তা দাঁড়াবে ৪১,৯০০ থেকে ১,০১,৬০০ কোটি।
শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে আর এক রেটিং সংস্থা ক্রিসিলের দাবি, বন্ধক বা গ্যারান্টর ছাড়া দেওয়া ঋণের (আনসিকিওর্ড) অঙ্ক গত তিন বছরে হু হু করে বেড়েছে। যদিও সেই তালিকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে সামিল বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিও।
ইকরার সমীক্ষা জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট লোকসান ঠিক কত দাঁড়াবে, তা নির্ভর করছে দেউলিয়া আইনে ফয়সালা হওয়া মামলার হাত ধরে কত টাকা ব্যাঙ্কগুলি ফেরত পাচ্ছে, তার উপর। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আইন মোতাবেক ৭০টি অনুৎপাদক সম্পদের অ্যাকাউন্টের ফয়সালা করবে এনসিএলটি। যেখানে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ৩.৮ লক্ষ কোটি আটকে।
অন্য দিকে, ক্রিসিল বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৮-এর মধ্যে বন্ধক বা গ্যারান্টর ছাড়া ঋণ চার গুণ বেড়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত, শিক্ষা ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণ। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত এই গোত্রের বকেয়া ঋণ প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা।