প্রতীকী ছবি।
ফারাক দেখে থ সংশ্লিষ্ট মহল।
টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেব মাফিক স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি, তাতে জরিমানা ও সুদ ধরে এয়ারটেলকে ৩৫,৫৮৬ কোটি দিতে হবে কেন্দ্রকে। অথচ নিজস্ব মূল্যায়নের ভিত্তিতে শনিবার এয়ারটেলের দাবি, সেই অঙ্ক ১৩,০০৪ কোটি। অনেকেই বলছেন, এত ব্যবধান কী করে হয়! কোনটা ভুল, কোনটাই বা ঠিক, সেই জল্পনাও দানা বাঁধছে শিল্পের অন্দরে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ডটের সঙ্গে ক্রমশ আরও জোরালো হচ্ছে বকেয়া বিতর্ক। তার জমি পোক্ত হল এ দিন।
শনিবার বকেয়া খাতে আরও ৩০০৪ কোটি মিটিয়েছে এয়ারটেল। দাবি করেছে, দু’ধাপে পুরোটাই মেটানো হল। ডটের সঙ্গে আলোচনার সময়ে যদি হিসেবের ফারাক ঘটে, তাই বাড়তি ৫০০০ কোটিও জমা দিয়েছে তারা। যা প্রয়োজনে ফেরানো শর্ত থাকছে।
কোন কোন খাতে আয়ের (এজিআর) প্রেক্ষিতে বকেয়া হিসেব হবে, সে জন্য ডটের যুক্তিকেই মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন মাসে তা মেটাতে বলেছিল। জিয়ো ছাড়া বাকি সংস্থা তা না-দেওয়ায় আদালতে ভর্ৎসিতও হয়। শুরু হয় আংশিক বকেয়া মেটানো। ডটের হিসেবে সব সংস্থার মোট বকেয়া ১.৪৭ লক্ষ কোটি। কিন্তু সংস্থাগুলি জানায়, তারা ডটের ফর্মুলা মানলেও নিজেরা এর মূল্যায়ন করবে। এ বার এয়ারটেল জানাল, ২০০৬-০৭ সাল থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ডটের নির্দেশ মতো এজিআরের হিসেবেই বকেয়ার বাকি টাকা মেটানো হল। এর মধ্যে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুদও ধরা হয়েছে।