সাইবার হানার পর থেকে বিটকয়েন নামটা মানুষের কাছে যথেষ্ট পরিচিত। বাস্তবে বিটকয়েনের কোনও অস্তিত্ব না থাকলেও ভার্চুয়াল দুনিয়ায় তার উপস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট চর্চিত বিষয়। দিনের পর দিন বিটকয়েনের দামও বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ বছর আগে যদি আপনি ১ লক্ষ টাকার বিটকয়েন কিনতেন, তা হলে আজ আপনি প্রায় ৬ কোটি টাকার মালিক হতেন। এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে বিটকয়েন আছে তাঁরা নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ধনীদের তালিকায়। সেই খাতায় এ বার নাম তুলতে পারেন আপনিও। কী ভাবে কিনবেন বিটকয়েন? দেখে নিন—
শুধুমাত্র বিটকয়েনই নয়। বিটকয়েনের মতো যে কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারেন আপনিও। ইথেরিয়াম, লিটকয়েন, ডগকয়েন, মনেরোর মতো ‘অপশন’ রয়েছে আপনার হাতে। এমনকী বিটকয়েন কিনে তা যে কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ‘কনভার্ট’ও করা যায়।
ভারতে যেহেতু বিটকয়েনের কেনাবেচা অবৈধ, সে কারণে আপনি লিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারেন। প্রথমে ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়ালেট বানাতে হবে আপনাকে। এ জন্য পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সির(লিটকয়েন, ইথেরিয়াম) লিঙ্কটি আগে ডাউনলোড করতে হবে। সেখান থেকেই ডাউনলোড করতে হবে ওয়ালেট।
ডেস্কটপ বা মোবাইল ফোনে এটি ডাউনলোড করার পর নিজের প্রোফাইল ‘সেট আপ’ করতে হবে আপনাকে। ২৪টি অক্ষরের দু’টি পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে।
ইচ্ছা করলে ‘শেপশিফ্ট’ নামের একটি অ্যাপস দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কনভার্ট করতে পারবেন আপনি। ইনপুট কারেন্সিতে বিটকয়েন সিলেক্ট করতে হবে। আউটপুট কারেন্সি আপনি নিজের ইচ্ছে মতো দিতে পারেন।
‘শেপশিফ্ট’-এ রিসিভ অ্যাড্রেস এবং ডিপোজিট অ্যাড্রেস একই হওয়া উচিত। রিসিভ অ্যাড্রেসেই, বিটকয়েন রিফান্ড অ্যাড্রেস হওয়া উচিত। যদি কোনওভাবে ট্রানজাকশন ব্যর্থ হয়, তা হলে আপনার দেওয়া বিটকয়েন ওয়ালেটের রিফান্ড অ্যাড্রেসে তা ফিরে আসবে।
এরপর ‘আই এগ্রি টু টার্মস’-এ ক্লিক করে ‘স্টার্ট ট্রানজাকশন’-এ ক্লিক করতে হবে।
এরপরেই ‘শেপশিফ্ট’ আপনাকে নতুন ডিপোজিট অ্যাড্রেস দেবে। এটি কপি করে বিটকয়েন ওয়ালেটে ফিরে যেতে হবে। এ বার বিটকয়েন অ্যামাউন্ট ওই নতুন অ্যাড্রেসে চলে আসবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কনভার্ট করার জন্য ‘শেপশিফ্ট’ ০.৫ শতাংশ করে টাকা কাটে।