প্রতীকী ছবি
এত দিন ৮০ টাকা ছুঁয়ে ফিরে আসছিল ডলার। বুধবার তাকে আর ঠেকানো গেল না। টাকার দামকে রেকর্ড তলানিতে ঠেলে আমেরিকার মুদ্রা ৮০ পেরিয়ে থামল। ১৩ পয়সা বেড়ে এক ডলার এই প্রথম ৮.০৫ টাকা হল। তবে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের দাবি, ভারতীয় মুদ্রার পতনের গতি বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মুদ্রার তুলনায় কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমদানিদারীদের ডলারের চাহিদাই মূলত টাকাকে এত নীচে নামিয়েছে এ দিন। যার কারণ বিশ্ব জোড়া মূল্যবৃদ্ধির আঁচ। অশোধিত তেলের দামও ফের ব্যারেলে ১০৫ ডলার হয়েছে। আগুন ডলার বাড়াচ্ছে আমদানি খরচ। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের মতে, টাকার পতনে ভুগছেন মানুষ। আমদানির চড়া খরচ ওষুধ, সার, গাড়ির চিপ ইত্যাদির দাম বাড়াচ্ছে। উবে যাচ্ছে তেলের দাম কমার সম্ভাবনাও। তাঁর দাবি, ‘‘সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমছিল। কিন্তু ডলারের দাম দেশে জ্বালানির দাম কমানোর পথে বাধা। তা আমদানির খরচকে কমতে দিচ্ছে না। অথচ তেলের দাম কমলে অত্যাবশ্যক জিনিস একটু সস্তা হতে পারে।’’
পড়তি টাকা বহু পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে, মত অর্থনীতির অধ্যাপিকা মহানন্দা কাঞ্জিলালেরও। তাঁর দাবি, সমস্যায় পড়েছেন সন্তানকে বিদেশে পড়াতে পাঠানো মা-বাবারাও। ডলার পাঠাতে গিয়ে পকেটে টান পড়েছে। চড়া আমদানি খরচে রফতানির মুনাফাও কমছে, আক্ষেপ ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ গারোডিয়ার।
এই অবস্থায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই নানা পদক্ষেপ করেছে। সরকারি সূত্রের দাবি, ভবিষ্যতে সেগুলি কাজে দেবে। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক অবশ্য বলছেন, “আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি-সহ আন্তর্জাতিক নানা কারণে বিশ্ব জুড়ে ডলার বাড়ছে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাওয়াই সেই প্রভাব কাটাতে পারবে তো!’’