—প্রতীকী চিত্র।
আপনার উপার্জনের অধিকাংশই কি আসে ভাড়া থেকে? আর সেই ভাড়া থেকে আয়ের উপর ভিত্তি করেই কি প্রতি বছর আপনাকে গুনতে হচ্ছে কর? তা হলে এ বার কর ছাড়ের হিসাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারবেন। কী ভাবে? জেনে নিন।
সাধারণত মৌলিক ছাড়ের সীমার উপরে গেলেই যে কোনও আয় কর যোগ্য হয়ে ওঠে। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত আয়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কারও আয় শুধুমাত্র ভাড়া থেকে আসে, তা হলে এই ক্ষেত্রে দেশের নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে সেই ব্যক্তি কোনও কর না দিয়েই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
কী ভাবে আপনি কোনও কর না দিয়েই সংগ্রহ করতে পারেন এই পরিমাণ অর্থ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাড়া থেকে যে কোনও ব্যক্তির অর্জিত আয় বাড়ির সম্পত্তি থেকে অর্জিত আয়ের অধীনে কর হিসাবে প্রযোজ্য। সেই কারণে মৌলিক ছাড়ের সীমার উপরে ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে কর প্রদান করতে হবে। যদিও লক্ষ্যনীয় বিষয়, ভাড়া থেকে আয়-সহ যদি কোনও ব্যক্তির মোট আয় প্রযোজ্য মৌলিক সীমার নীচে হয়, তা হলে সেই ব্যক্তিকে এই ধরনের ভাড়া সংক্রান্ত আয়ের উপর কোনও রকম আয়কর দিতে হবে না।
৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী করদাতারা আয়কর আইনের ৮৭এ ধারার অধীনে সম্পূর্ণ কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন। কিন্তু ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছর থেকে কার্যকর আয়কর আইনের ধারা ১১৫বিএসি এর অধীনে নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়া করদাতাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার প্রযোজ্য সীমা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। মূল বিষয় হল, যদি আয়ের একমাত্র উৎস ভাড়াটেদের কাছ থেকে গৃহীত ভাড়া হয়, তা হলে নতুন ব্যবস্থার অধীনে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে আপনার উপার্জন কোনওভাবে করযোগ্য হবে না।
বাড়ির সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত ভাড়া সংক্রান্ত আয় নির্দিষ্ট ব্যয়ের প্রতি ছাড় বিবেচনা করার পর করযোগ্য হয়ে ওঠে। সম্পত্তির উপর প্রদত্ত কর এবং গৃহ ঋণের সুদ, সেই ব্যক্তির প্রকৃত আয় থেকে ছাড়যোগ্য কর হিসাবে অনুমোদিত। এ ছাড়াও বাড়ি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোট বার্ষিক মূল্যের উপর ৩০ শতাংশ একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশান প্রদান করা হয়।
৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের নিয়মের ফলে ভাড়া হিসাবে সংগৃহীত মোট ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে করযোগ্য আয় ৭ লক্ষ টাকা। দেশের নতুন কর পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে যে হেতু ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তাই যে ব্যক্তি শুধুমাত্র ভাড়া থেকে এই আয় করছেন, তাকে কোনও কর দিতে হবে না। একইসঙ্গে ভাড়ায় মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩০ শতাংশ স্টান্ডার্ড ডিডাকশানের পরে, ব্যক্তির মোট আয় সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকার সীমার মধ্যেই রয়ে যাবে। এই পদ্ধতিতেই নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে এক জন ব্যক্তি কোনও রকম আইন ভঙ্গ না করেই ভাড়া থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।