প্রতীকী ছবি।
অতিমারির জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি বিপুল ধাক্কা খেয়েছে আবাসনও। হারানো ব্যবসা এখনও পুনরুদ্ধার না-হলেও লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে চাহিদা কিছুটা বেড়েছে বলে দাবি করল আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা নাইটফ্র্যাঙ্ক। তাদের বক্তব্য, চাহিদার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মহারাষ্ট্রের মতো এ রাজ্যেও স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেট সংশোধন করা উচিত।
গত ক্যালেন্ডারবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের আবাসন ও অফিস ক্ষেত্রের ব্যবসার হাল নিয়ে বুধবার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নাইটফ্যাঙ্ক। সংস্থার কর্তারা জানান, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আবাসনের বিক্রিবাটা অনেকটাই বেড়েছে। বাড়ি থেকে কাজকর্ম বাড়লেও ওই সময়ে অফিসের জন্যও জায়গা নিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। নাইটফ্র্যাঙ্কের এমডি শিশির বৈজল ও কলকাতা শাখার প্রধান স্বপন দত্ত জানান, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে গোটা দেশে আবাসন ক্ষেত্রে মোট বিক্রির ৫০ শতাংশই হয়েছে মুম্বই এবং পুণেয়। তাঁদের ব্যাখ্যা, মহারাষ্ট্রের সরকার আবাসনের স্ট্যাম্প ডিউটি সাময়িক কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। বিক্রি বেড়েছে সে কারণেও। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যও সেই পথে হাঁটলে ইতিবাচক ফল পাবে। স্বপনবাবু জানান, এ রাজ্যের আবাসন শিল্পের কর্তারাও সরকারের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি নাইটফ্র্যাঙ্কের কর্তাদের মতে, বিভিন্ন আর্থিক মাপকাঠিতেও পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফ্ল্যাটের দাম যেমন কমেছে, তেমনই সুদের হারও এখন সর্বনিম্ন। পড়ে থাকা ফ্ল্যাটও বিক্রি হচ্ছে অনেক। কলকাতায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সে রকম ফ্ল্যাটের সংখ্যা প্রায় ১৪% কমেছে। তবে এই পরিস্থিতি কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে এখনই স্পষ্ট কোনও পূর্বাভাস দিতে রাজি নয় সংস্থাটি। তাদের মতে, করোনা প্রতিষেধকের প্রভাব এবং নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কার প্রেক্ষিতে এখনও তা বলার সময় আসেনি।
রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ক্রেডাইয়ের (ওয়েস্ট বেঙ্গল) প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা জানান, অতিমারির জেরে ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কা থাকায় প্রায় সব সংস্থাই নতুন প্রকল্প বাজারে আনার বদলে চালু প্রকল্পের বিক্রিতে নজর দিয়েছিল। ফলে জমে থাকা প্রকল্পের বিক্রিতে তা সাহায্য করেছে।