প্রতীকী ছবি।
নোটবন্দি, জিসটি, অর্থনীতির ঝিমুনির পরে থাবা বসিয়েছে করোনা। চাহিদা এতটাই কমেছে যে, গত দেড় বছরেরও বেশি সময়ে ঋণনীতিতে বারবার সুদ কমিয়েও সুরাহা হয়নি। বহু আবাসন পড়ে আছে। নতুনগুলোও তেমন বিক্রি হচ্ছে না। এই অবস্থায় শুক্রবারের ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাড়ি-ফ্ল্যাটের ঋণে ব্যাঙ্কের ঝুঁকির শর্ত শিথিল করে বলেছে, এ বার থেকে বাড়ির ক্রেতা ব্যাঙ্ক থেকে কম ধার করলে কম সুদের সুবিধা পাবে। তার পরেই কিছুটা আশার আলো দেখছে আবাসন শিল্প মহল। তাদের ধারণা, এতে ঋণ সহজলভ্য হবে।
আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের জাতীয় প্রেসিডেন্ট সতীশ মাগার ও ক্রেডাই-বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট নন্দু বেলানির আশা, এই পদক্ষেপ চাহিদা বাড়াতে সহায়ক হবে। তবে এই সুবিধা নিতে গেলে বাড়ি কেনার জন্য ডাউনপেমেন্ট বেশি করতে হবে। অর্থাৎ নগদ টাকা হাতে থাকতে হবে বেশি। ফলে ক’জন এর সুবিধা নিতে পারবে প্রশ্ন থাকছেই। তা ছাড়া আর্থিক অনিশ্চয়তার ভয় কাটিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নেওয়ার পথে হাঁটবে কতজন, প্রশ্ন সেটাও। বেলানির দাবি, সংক্রমণ থাকলেও তা নিয়ে ভয় কমেছে। কাজকর্মও ছন্দে ফিরছে। এই অবস্থায় বাড়ি কেনার কথা ভাববেন অনেকেই।
তবে সতীশের দাবি, আবাসন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও পদক্ষেপ করুক শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ন্যাশনাল রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিরঞ্জন হীরানন্দানির মতে, এ দিনের সিদ্ধান্ত ঋণ সহজলভ্য করবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সিআইআইয়ের ডিজি চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে সহায়ক হবে এটি।