—প্রতীকী ছবি।
অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের বছরে (২০২০-২১) দেশে ব্যক্তিগত সঞ্চয় পৌঁছয় ২৩.২৯ লক্ষ কোটি টাকায়। কিন্তু পরবর্তী দু’বছরে তা ৯ লক্ষ কোটি টাকা কমে ১৪.১৬ লক্ষ কোটিতে নামায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। সম্প্রতি কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন যুক্তি দিয়েছেন, সাবেক ব্যাঙ্ক সঞ্চয়ের বদলে অন্যান্য ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে উদ্বেগের কিছু নেই। কিন্তু মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার যুক্তি একেবারে উল্টো। তারা বলেছে, গত কয়েক বছরে বাড়ি, গাড়ি-সহ বিভিন্ন ঋণে সুদের বোঝা উত্তরোত্তর বেড়েছে। এই দায়ই টেনে নামিয়েছে সঞ্চয়কে। এমনকি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেও এই প্রবণতা বজায় থাকতে পারে।
তবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি বন্ধকহীন ব্যক্তিগত ঋণের বিধি পোক্ত করেছে। এই পদক্ষেপ সফল হলে চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) ফের বাড়তে পারে সঞ্চয়। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এখন সুদের হার যথেষ্ট চড়া। এই হার কমলেও ফের ব্যক্তিগত সঞ্চয় মাথা তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত (হাউসহোল্ড) বলতে সরকার এবং কর্পোরেট সংস্থা বাদে বাকি সমস্ত পক্ষের কথা বলা হয়েছে। সে পরিবার হোক, কিংবা হোক ব্যক্তিগত বা অংশীদারভিত্তিক সংস্থা।
ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের ব্যাখ্যা, গত কয়েক বছরে বাড়ি, গাড়ি, ব্যক্তিগত, শিক্ষা, ব্যবসা-সহ বিভিন্ন ঋণে সুদের হার ক্রমাগত বেড়েছে। তাতেই সুদের দায় মাথা তুলেছে। হাত পড়েছে সঞ্চয়ে।