—প্রতীকী চিত্র।
অতিমারিতে যে সমস্ত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল তার মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল আবাসন। দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেত্রটি ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। গৃহ ঋণের সুদের হার এখন বেশি হলেও বাড়ছে চাহিদা। তাতে আরও বেশি করে জ্বালানি জোগাচ্ছে মধ্যবিত্তের একাংশের দামি বাড়ি-ফ্ল্যাট কেনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তার ফলে বাড়ছে দাম। আবাসন ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতে ফ্ল্যাটের দাম এক বছর আগের তুলনায় বেড়েছে ৫.৯%। আবাসনের দাম বৃদ্ধির নিরিখে ১৮ ধাপ এগিয়ে ভারত উঠে এসেছে চতুর্দশ স্থানে।
মোট ৫৬টি দেশের আবাসনের মূল্যবৃদ্ধির হিসাবের উপরে ভিত্তি করে ‘গ্লোবাল হাউস প্রাইস ইন্ডেক্স’ তৈরি করেছে নাইট ফ্র্যাঙ্ক। সেই হিসাব কষা হয়েছে স্থানীয় মুদ্রার নিরিখে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে তুরস্কে বাড়ির দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে (৮৯.২%)। তার পরে রয়েছে ক্রোয়েশিয়া (১৩.৭%), গ্রিস (১১.৯%), কলম্বিয়া (১১.২%), উত্তর ম্যাসেডোনিয়া (১১%)। ভারত ৩২ থেকে উঠে এসেছে ১৪ নম্বরে। যে সমস্ত দেশকে নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে ৩৫টিতেই বাড়ির দাম বেড়েছে। কমেছে বাকি ২১টিতে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেকানোর চেষ্টা করলেও আবাসনের দাম বৃদ্ধি আটকানো যাচ্ছে না। সারা বিশ্বে আবাসনের বার্ষিক দাম বৃদ্ধির হার ৩.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। আতিমারির আগের ১০ বছরে গড় ছিল ৩.৭%।’’
ভারতে আবাসনের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিশির বৈজলের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি এবং গৃহ ঋণের সুদের হার উঁচু হওয়া সত্ত্বেও মানুষের স্থায়ী ছাদের চাহিদা আবাসনের বাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে আরও গতি দিচ্ছে নগরায়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন। তার ফলেও দাম বাড়ছে।