—প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকা মন্দার কবলে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল ৫ অগস্ট। সে দিন সেনসেক্স খুইয়েছিল ২২২২ পয়েন্ট। গত শুক্রবার ওই সূচকই ১৩৩১ উঠেছে আমেরিকার অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরার ইঙ্গিতে এবং সুদ কমার আশায়। সম্প্রতি তলিয়ে যাওয়া জাপানের শেয়ার সূচক নিক্কেই সে দিন লাফায় ১৩৩৬ পয়েন্ট (৩.৬৪%)। বিশ্বের প্রায় সব শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়, যখন জানা যায় আমেরিকায় খুচরো বিক্রিবাটা বেশ ভাল রকম বেড়েছে। তার উপর অর্থনীতিতে একটু মন্দাভাব দেখা দেওয়ায় বাজার আশা করছে, সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ অন্ততপক্ষে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাবে। এই আশায় আরও জ্বালানি জুগিয়েছে জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। গত মাসে সেখানে তা বেড়েছে ০.২% হারে। ১২ মাসের হার ২.৯%, যা ২০২১ সালের মার্চের পরে সব থেকে কম।
যদিও ভারতের বাজারকে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ঘটনা ঠেলে তুলেছে ভাবলে ভুল হবে। জ্বালানির জোগান ছিল দেশের ভেতর থেকেও। যে কারণে সেনসেক্স ফের ঢুকেছে ৮০ হাজারের ঘরে। সর্বোচ্চ শিখর থেকে তা মাত্র ১৪০০ পয়েন্ট পিছনে। বর্তমানে অবস্থা যা, তাতে ভবিষ্যৎ নিয়েও আশায় বুক বাঁধছেন লগ্নিকারীরা। তাই মাঝারি মেয়াদে সূচক আরও কিছুটা বেড়ে নতুন নজির গড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণগুলি হল—
শেয়ার বাজার বেশ কিছু দিন ধরে চাঙ্গা থাকায় প্রথমবার শেয়ার ছেড়ে তহবিল সংগ্রহ করতে (আইপিও বা প্রথম শেয়ার ইসু) নামছে একের পর এক সংস্থা। ইতিমধ্যেই ভাল লাভের সন্ধান দিয়েছে অনেক আইপিও। বেশ কয়েকটি আসছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি মাপের সংস্থা থেকেও। এর ফলে নতুন শিল্প গড়ে উঠছে। বাড়ছে কর্মসংস্থান। সম্প্রতি বাজারে শেয়ার ছেড়েছে ওলা ইলেকট্রিক, এমকিয়োর ফার্মা, অ্যালায়েড ব্লেন্ডার্স, গো ডিজিট, সেগাল ইন্ডিয়া, ব্রেনবিজ় সলিউশন্স, আকুমস ড্রাগস ইত্যাদি সংস্থা। ৪০০০ কোটি টাকার আইপিও আনার লক্ষ্যে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির দফতরে কাগজপত্র জমা করেছে জেএসডব্লিউ সিমেন্ট। একগুচ্ছ নতুন সংস্থা নথিবদ্ধ হওয়ায় এবং বাজার চাঙ্গা থাকায় দ্রুত বাড়ছে নথিবদ্ধ সমস্ত শেয়ারের মোট বাজারদর বা মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন। বাড়ছে লগ্নিকারীর সংখ্যাও। গত শুক্রবার বিএসই-র মার্কেট ক্যাপ ছিল ৪৫১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। লগ্নিকারীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৮.৬০ কোটি।
(মতামত ব্যক্তিগত)