SEBI

সরকারি নথিতেও সেবি কর্ণধারের অংশীদারির তথ্য

বুচের অংশীদারি নিয়ে শুক্রবার ফের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও আক্রমণ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৩
Share:

মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।

শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র পর্ষদে সদস্য ও চেয়ারপার্সন হওয়ার পরেও নিজের উপদেষ্টা সংস্থা আগোরা অ্যাডভাইজ়রিতে মাধবী পুরী বুচ অংশীদারি বহাল রেখেছিলেন বলে অভিযোগ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের। তাদের দাবি, সেই সময়ে এই ভারতীয় উপদেষ্টা সংস্থাটি বিভিন্ন দেশীয় শিল্পকে পরামর্শ দিয়ে আয় করে। অর্থাৎ, অংশীদার হিসেবে সেই আয়ের শরিক হন বুচ। এ বার একই অভিযোগ উঠে এল সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে। যেখানে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ়ের নথিতে স্পষ্ট, মাধবী সেবি-র পদে থাকাকালীন ২০১৭-২০২২ পর্যন্ত তাঁর ওই সংস্থা ৩.৭১ কোটি টাকা আয় করেছে। যেখানে তাঁর শেয়ার ৯৯%। সেবি-র ২০০৮ সালের নিয়ম অনুযায়ী, লাভজনক সংস্থায় কাজ করতে বা সেখান থেকে বেতন কিংবা অন্যান্য ফি নিতে পারেন না বাজার নিয়ন্ত্রকের কর্তারা। সেই অর্থে এই ঘটনা সেই নিয়ম ভাঙার শামিল। তবে এই আয়ের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে কি না বা ব্যবসার ধরন কী ছিল, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি বলেই মন্তব্য করেছে সংবাদ সংস্থাটি।

Advertisement

বুচের অংশীদারি নিয়ে শুক্রবার ফের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও আক্রমণ করেছেন। মোদী সরকারের প্রাক্তন আমলা ও বুচের সময়ে সেবির পর্ষদের সদস্য সুভাষচন্দ্র গর্গ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক সদস্যের বক্তব্য, এই অংশীদারি নিয়ে মাধবী বা অন্য কোনও আধিকারিকের তরফে পর্ষদে কথা হয়নি। এ ভাবে অংশীদারি ধরে রাখার মানে হয় না। পর্ষদকে জানানো হলে তার অনুমতিও দেওয়া হত না। এর ফলে নিয়ন্ত্রক হিসেবে মাধবীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকি তা গুরুতর নিয়ম ভাঙার সমান বলেও দাবি তাঁদের।

তবে গর্গ বলছেন, সামনাসামনি কথা হয়নি ঠিকই। কিন্তু সেবির তৎকালীন চেয়ারম্যান অজয় ত্যাগীকে যদি ব্যক্তিগত ভাবে মাধবী জানান, সেটা তাঁদের জানা নেই। এ নিয়ে ফোন ও মেসেজের জবাব ত্যাগী দেননি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। উত্তর দেননি সেবি ও মাধবী। তিনি ও তাঁর স্বামী ধবল বুচ রবিবার হিন্ডেনবার্গের দাবি খারিজ করেছিলেন। তবে রয়টার্সের রিপোর্ট সামনে আসায় সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement