প্রতীকী ছবি
টানা চার দিন থমকে থাকার পরে ফের শনি এবং রবিবার বাড়ল ডিজেলের দাম। আর তার হাত ধরে নয়াদিল্লিতে লিটারে ৮২ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেল পেট্রোপণ্যটির দর। রবিবার তা ১৫ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮১.৯৪ টাকা। যা নতুন রেকর্ড। কলকাতাতেও রবিবার পেট্রোপণ্যটির দাম ছাড়িয়েছে ৭৭ টাকার গণ্ডি। দাম দাঁড়িয়েছে লিটারে ৭৭.০৪ টাকা। পেট্রল আগের মতো রয়েছে ৮২.১০ টাকাই। সোমবার অবশ্য শহরে পণ্য দু’টির দাম পাল্টায়নি।
লকডাউনে টানা ৮২ দিন থমকে থাকার পরে ৭ জুন থেকে দেশে বাড়ছে তেলের দাম। তার মধ্যে আবার গত মাসের শেষ থেকে বেশ কিছু দিন ধরে থমকে রয়েছে পেট্রল। কিন্তু ধীরে ধীরে হলেও, বেড়ে চলেছে অন্যটি। ৭ জুন থেকে পেট্রল ৮.৮০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১১.৪২ টাকা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট্রোপণ্যের দাম এই হারে বাড়তে থাকলে পরিবহণের খরচ বাড়তে বাধ্য। পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়লে তার প্রভাব পড়বে জিনিসপত্রের দামের উপরেও।
তবে এপ্রিলের তুলনায় জুনে বিশ্ব জুড়ে তেলের চাহিদা বাড়লেও, ভারত-আমেরিকার মতো দেশে ফের সংক্রমণ মাথাচাড়া দেওয়ার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন চলছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইএ জানিয়েছে, এর ফলে জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনে ভারতে গত বছরের তুলনায় পেট্রল, ডিজেলের বিক্রি কমেছে ১২%-২১%। ১৬-৩০ জুনেও তা ছিল ৯%-১৬%। আগামী দিনে লকডাউন আরও জোরালো হলে, চাহিদা আরও ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
জ্বালানির দর, বিশেষ করে ডিজেলের দাম কমানোর দাবি ইতিমধ্যেই উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। দেশের ট্রাক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, তাদের পরিবহণ খরচের ৬৫ শতাংশই যায় ডিজেলে। বাদবাকিটা টোল ট্যাক্স এবং অন্যান্য খরচ। লকডাউনের ফলে পণ্যের চাহিদা কমায় অনেক ক্ষেত্রে ট্রাকগুলিকে খালি অবস্থায় ফিরে আসতে হচ্ছে। সে কারণেও বাড়ছে খরচ। এই অবস্থায় সরকার ডিজেলের দাম না-কমালে পরিবহণ খরচ ২০%-২৫% বাড়াতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব পড়বে পণ্যের দামে।