navigation fuel

বাড়ছে বিমান জ্বালানিও

তেল সংস্থা সূত্রের খবর, কলকাতায় জ্বালানিটির দাম কিলোলিটারে প্রায় ৩০০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৩,৫৯০.৬৭ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৩
Share:

প্রীতীকী ছবি।

দু’সপ্তাহের মধ্যে গৃহস্থের রান্নার গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি জানাল, এ বার এক ধাক্কায় ৬.৩% বাড়ানো হয়েছে বিমানের জ্বালানির (এটিএফ) দরও। ডিসেম্বরের গোড়াতেও যা ৭.৬% বেড়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্প, আদৌ কি কোনও পক্ষকেই রেহাই দিচ্ছে কেন্দ্র? বিশেষত করোনা পরিস্থিতি সামলে সকলেই যখন ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ দিন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন বিরোধীরাও।

Advertisement

পেট্রল-ডিজেলের দর সর্বকালীন রেকর্ডের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। এরই মধ্যে ডিসেম্বরে দু’বার ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা করে বেড়েছে। সব মিলিয়ে শীতকালে আনাজের দাম কমার পুরো সুফল পৌঁছয়নি মানুষের হেঁশেলে। এরই মধ্যে এল এটিএফের দাম বাড়ার খবর। তেল সংস্থা সূত্রের খবর, কলকাতায় জ্বালানিটির দাম কিলোলিটারে প্রায় ৩০০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৩,৫৯০.৬৭ টাকা। ১ ডিসেম্বরেও পণ্যটির দাম প্রায় ৩২০০ টাকা বেড়েছিল। দিল্লিতে দর ৪৯,১৬১.১৬ টাকা।

এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো-সহ বিভিন্ন বিমান সংস্থার কর্তাদের ইঙ্গিত, এই অবস্থায় টিকিটের দাম বাড়া কার্যত অবশ্যম্ভাবী। ইন্ডিগোর এক কর্তার বক্তব্য, বিমান চালানোর ৩৫% খরচই হয় জ্বালানি কিনতে। ফলে সংস্থার খরচ বাড়বে। স্পাইসজেটের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিমান সংস্থার আর্থিক অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে বর্ধিত দামের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে নেওয়া মুশকিল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: টেলিকমে চিনা যন্ত্রাংশে এ বার নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত কেন্দ্রের

•বিমানের জ্বালানির দর ঠিক হয় মাসে দু’বার। ১ তারিখ এবং মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক রান্নার গ্যাসের মতোই।

•ডিসেম্বরে ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। দ্বিতীয় দফায়
পাঁচ কেজির সিলিন্ডারের দামও বেড়েছে ১৮ টাকা। ভর্তুকিও যৎসামান্য।

•একই ভাবে ডিসেম্বরে দু’দফায় এটিএফের দাম কিলোলিটারে বেড়েছে প্রায় ১৪%। কলকাতায় দাম ৫৩,৫৯০.৬৭ টাকা। শিল্পের পরিস্থিতি এমনই যে, ১-১৫ ডিসেম্বর দেশে এটিএফের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ৪৭% কম হয়েছে।

•পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, বিমানের জ্বালানি— প্রায় সব ধরনের জ্বালানির দর রয়েছে চড়ে। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্র তবে সুরাহা দিচ্ছে কোন শ্রেণির মানুষকে?

আরও পড়ুন: মার্চেই স্পেকট্রাম নিলাম, বিক্রি নিয়ে বহাল সংশয়

দেশের বিমান শিল্প হোঁচট খাচ্ছে অনেক দিন আগে থেকেই। লকডাউন তাকে ঠেলে দিয়েছে খাদের ধারে। প্রশ্ন উঠছে, এখন সেই শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে, তখন ফের জ্বালানির দাম চড়তে থাকায় লড়াইয়ের পথ আরও অমসৃণ হবে না?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement