ছবি সংগৃহীত
অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ের উপরে ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি আদায়ের সুপারিশ করল রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের মন্ত্রিগোষ্ঠী। অনলাইন জুয়া, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ে প্রথমে যে টাকার বাজি ধরা হয়, তার সঙ্গে পুরস্কার মূল্য, পরিষেবা ফি-সহ সব কিছুর উপরেই জিএসটি আদায়ের সুপারিশ করেছে মন্ত্রিগোষ্ঠী।
আজ দিল্লিতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক হয়। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, গোয়ার মন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানার অর্থমন্ত্রীরা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রথম থেকেই অবস্থান ছিল, অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো ও ঘোড়দৌড়ের ক্ষেত্রে পুরো অর্থের উপরে জিএসটি আদায় করতে হবে। কারণ স্কিল লোটোর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তেমনই রায় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও জিএসটি আইন মেনেই প্রাথমিক বাজির অঙ্ক, পুরস্কার মূল্য, পরিষেবা ফি সব কিছুর উপরে জিএসটি আদায় করা উচিত। মন্ত্রিগোষ্ঠী পশ্চিমবঙ্গের যুক্তি মেনে নিয়েই সুপারিশ করেছে।
এখন ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়, অনলাইন গেমিংয়ে ১৮ শতাংশ জিএসটি আদায় করা হয়। যে সব অনলাইন গেমে দক্ষতার প্রয়োজন, সেখানে ১৮ শতাংশ, যেখানে পুরোটাই ভাগ্য নির্ভর, সেখানে ২৮ শতাংশ জিএসটি আদায় করা হয়। দক্ষতা হোক বা ভাগ্য, যেখানেই আর্থিক পুরস্কার জড়িত, সেখানেই ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি আদায়ের সুপারিশ করছে মন্ত্রিগোষ্ঠী।
অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি এর বিরোধিতা করছিল। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে গোয়ার তরফে এর বিরোধিতা করে বলা হয়, পুরো অর্থের উপরে জিএসটি আদায় করতে গেলে গোয়ার ক্যাসিনো ক্ষেত্র তথা পর্যটন শিল্পে আঘাত আসবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় অন্য কথা বলছে বলে পশ্চিমবঙ্গের যুক্তির সামনে তা খারিজ হয়ে যায়।
বৈঠকের পরে সাংমা জানিয়েছেন, অনলাইন গেম, ক্যাসিনো, ঘোড়দৌড়ে জিএসটি নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের হাতে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে। তার পরে জিএসটি পরিষদে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।