প্রতীকী ছবি
ভাগ্যের খেলায় নামার খরচ বাড়ল। লটারির টিকিটে জিএসটি হল ২৮%। রাজ্য সরকারি লটারিতে তা ছিল ১২%। অনুমোদিত সংস্থা ও রাজ্যের বাইরে ২৮%। নতুন হারে পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে সব রাজ্যে লটারি অনুমোদিত, তারা লাভবান হবে। আপাতত অন্য পণ্য বা পরিষেবায় জিএসটি বাড়েনি। কেন্দ্রের ইচ্ছে থাকলেও, তা আটকে গিয়েছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের আপত্তিতে।
এত দিন জিএসটি পরিষদে সব সিদ্ধান্ত হয়েছে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রয়াত অরুণ জেটলি বরাবর যা নিয়ে বড়াই করেছেন। কিন্তু আজ লটারিতে জিএসটি ঠিক করা নিয়ে প্রথম বার প্রথা ভেঙে ভোটাভুটি হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে ঐকমত্য গড়তে পারেননি। নির্মলা অবশ্য বলেন, ‘‘ভোট না-হওয়া প্রথা ছিল। কিন্তু তা নিয়মের বাইরে নয়।’’
কেন্দ্র চেয়েছিল কিছু পণ্যে কর বাড়াতে। কয়েকটিতে বসাতেও। কিন্তু বাধা দেন বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেছিলেন, জিএসটি বাড়লে আরও বিপাকে পড়বে অর্থনীতি। আজ বাকি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও তা বলেন।
অমিতবাবুর অভিযোগ, সেস তহবিলে ৪২,০০০ কোটি টাকা থাকলেও রাজ্যকে তা দেওয়া হয়নি। বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের দাবি, ২০২২-এর পরেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।