GST Rate

অনলাইন গেম-এ ২৮% কর, ছাড় ক্যানসারের ওষুধে

অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ে ২৮% হারে কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নিল জিএসটি পরিষদ। যত টাকার বাজি ধরা হচ্ছে, তার উপরে জিএসটি চাপানো হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩ ০৪:৪৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

টালবাহানা চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। ক্যাসিনোর উপরে চড়া হারে জিএসটি চাপানোর প্রস্তাব নিয়ে গোয়ার মতো রাজ্যগুলি প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। আবার অনলাইনে গেমিং-এ ২৮ শতাংশের মতো সর্বোচ্চ হারে জিএসটি চাপালে এই নতুন শিল্প পথে বসবে বলে সওয়াল করছিল সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। যুক্তি দেওয়া হচ্ছিল, এর সবটাই জুয়া বা ফাটকাবাজি নয়। এর মধ্যে দক্ষতাও জড়িয়ে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ একাধিক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এ সব ক্ষেত্রে ২৮% হারেই জিএসটি চাপানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেই দাবি মেনে অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং ঘোড়দৌড়ে ২৮% হারে কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নিল জিএসটি পরিষদ। যত টাকার বাজি ধরা হচ্ছে, তার উপরে জিএসটি চাপানো হবে।

Advertisement

অর্থাৎ লটারি বা জুয়ার মতো এ বার থেকে অনলাইন গেমিং-এ ছাড় মিলবে না। একে জিএসটি-র আওতায় আনতে আইন সংশোধন করা হবে।

আজ বৈঠকে ক্যানসারের চিকিৎসার ওষুধ ডাইনাটাক্সিম্যাব, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজনে তৈরি খাবার, কাঁচা পাঁপড়কে জিএসটি থেকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সে বিক্রি হওয়া খাবার ও পানীয়ে জিএসটি ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমইউভি (মাল্টি ইউটিলিটি ভেহিক্‌ল) গাড়িতে জিএসটি-র সেস ২০% থেকে বাড়িয়ে ২২% করা হয়েছে।

Advertisement

অনলাইন গেমিংয়ে শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে তরুণরা আকৃষ্ট হয়ে পড়ছেন, অনলাইনে জুয়া খেলা চলছে বলে অভিযোগের মুখে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকও এই ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে আইন আনতে চাইছে। জিএসটি পরিষদ অবশ্য শুধুমাত্র কর আদায়ের দিক থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর বক্তব্য, মুনাফা হচ্ছে। আয় হচ্ছে। তার উপরেই জিএসটি বসানো হচ্ছে। কোনও শিল্পকে নিশানা করা হচ্ছে না। কিছু রাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু নৈতিক প্রশ্নটা ছিল, এদের কি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের থেকেও বেশি উৎসাহ দেওয়া হয়? দু’তিন বছর আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘রাজ্য প্রথম থেকে যা চেয়েছিল, সেটাই হয়েছে।’’

সম্প্রতি কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে জিএসটি নেটওয়ার্ককে (জিএসটিএন) আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের আওতায় আনা হয়েছিল। ইডি-কে জিএসটিএনের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়। জিএসটি ব্যবস্থার প্রযুক্তি সামাল দেওয়ার কাজ করে জিএসটিএন। রিটার্ন, কর জমা-সহ বিভিন্ন তথ্য থাকে তাদেরই হাতে। এ দিন দিল্লির অর্থমন্ত্রী অতিশী এর কড়া বিরোধিতা করেন। জিএসটি প্রদানকারী ব্যবসায়ীদের ইডি-র তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রীরাও এ নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা দাবি করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement