প্রতীকী ছবি।
টানা চার মাস লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়াল জিএসটি সংগ্রহ। রবিবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত মাসে আদায় হয়েছে ১,০৫,৩৬৬ কোটি টাকা। যা ২০১৯-এর ওই সময়ের চেয়ে ৮% বেশি, তবে জানুয়ারির চেয়ে কম। ওই মাসে সংগ্রহ ছিল ১.১০ লক্ষ কোটি।
পুরো অর্থবর্ষের জিএসটি সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নিয়ে যেতে শেষ তিন মাসের লক্ষ্যমাত্রা নতুন করে বেঁধেছিল কেন্দ্র। ঠিক হয়, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে সংগ্রহ হতে হবে ১.১৫ লক্ষ কোটি করে। মার্চে ১.২৫ লক্ষ কোটি। কিন্তু বছরের প্রথম দু’মাসে আদায় হয়েছে যথাক্রমে ১.১০ এবং ১.০৫ লক্ষ কোটি। সুতরাং, চলতি অর্থবর্ষে সংগ্রহ সামগ্রিক লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। ঠিক সেই সময়ে, যখন
তৃতীয় ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হারে অর্থনীতির শ্লথ গতি বজায় থাকার লক্ষণ স্পষ্ট। দরজায় ঘা দিচ্ছে করোনা-ভাইরাসের প্রভাব ঘিরে আশঙ্কা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, টানা চার মাস ১ লক্ষ কোটি পার হওয়ার অর্থ, জিএসটি সংগ্রহের জমি শক্ত হচ্ছে। এ বার তা গতি পেতে পারে। বিশেষত রিটার্ন জমার প্রক্রিয়া আরও সরল হওয়ার পরে। অন্য অংশের মতে, কাঁচামালের খরচ হিসেবে আগে মেটানো করের টাকা ফেরতে দেরির অভিযোগ রয়েছে শিল্পের। ওই টাকা আটকে থাকায় কার্যকরী মূলধনে টান পড়ছে। আবার এতে কর আদায়ও বেশি দেখাচ্ছে। যা বিশ্লেষণ করা জরুরি বলে মত তাঁদের।