অর্থ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি কর ফাঁকি রোখার পদক্ষেপ, বিশেষত ভুয়ো বিল তৈরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই আদায় এতখানি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। জিএসটি পরিষদ করের বিভিন্ন হার কমিয়ে আনার ফলেও রাজস্ব আদায় ভাল হয়েছে।’’
গত বছরের মার্চের তুলনায় জিএসটি আদায় বেড়েছে প্রায় ১৫%। প্রতীকী ছবি।
জ্বালানি এবং কাঁচামালের বাড়তে থাকা দামে শিল্প এবং আমজনতার যখন বিপর্যস্ত অবস্থা, তখন মোদী সরকারের রাজকোষ ভরল রেকর্ড অঙ্কের জিএসটি আদায়ে। শুক্রবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, মার্চে সংগ্রহের পরিমাণ ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকা। যা জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি। গত বছরের মার্চের তুলনায় আদায় বেড়েছে প্রায় ১৫%। দেশে ভাল বিক্রিবাটা এবং কর ফাঁকি আটকানোয় সাফল্যই এর কারণ বলে দাবি সরকারের। এর ফলে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিএসটি আদায়ের মোট পরিমাণ বাজেটে বেঁধে দেওয়া ৫.৭০ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রাও (সংশোধিত) পেরিয়েছে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার মুখে সংস্থাগুলি বিক্রির লক্ষ্য পূরণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে তার হাত ধরেও জিএসটি সংগ্রহ বাড়ে মার্চে। অর্থ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি কর ফাঁকি রোখার পদক্ষেপ, বিশেষত ভুয়ো বিল তৈরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই আদায় এতখানি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। জিএসটি পরিষদ করের বিভিন্ন হার কমিয়ে আনার ফলেও রাজস্ব আদায় ভাল হয়েছে।’’