জিএসটি-তে আয় ফের ১ লক্ষ কোটি ছাড়াল। —প্রতীকী ছবি
নিম্নমুখী আর্থিক বৃদ্ধির ধাক্কায় কমে গিয়েছিল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) আদায়। তবে সেই সঙ্কট কাটিয়ে জিএসটি থেকে সেই আয় গত মাসের চেয়ে সামান্য বাড়ল। তিন মাস পর ফের এক লক্ষ কোটি ছাড়াল এই অঙ্ক। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, নভেম্বরে মোট জিএসটি আদায় ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে চালু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে আট মাস এক লক্ষ কোটি টাকা ছাড়াল জিএসটি আদায়।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষে জুনে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছিল ৫ শতাংশে। যা ছিল ৬ বছরে সর্বনিম্ন। অর্থনীতিবিদদের মতে, তার পর থেকে জিএসটিতেও তার প্রভাব পড়তে থাকে। জুলাই মাসে যেখানে ১ লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা ছিল, অগস্টে জিএসটি থেকে আয় কমে দাঁড়ায় ৯৮ হাজার ২০২ কোটি। সেপ্টেম্বরে আরও নেমে দাঁড়ায় ৯১ হাজার ৯১৬ কোটিতে। তবে অক্টোবরে জিএসটি আদায়ের অঙ্ক কিছুটা বেড়ে হয় ৯৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।
তিন মাস পর ফের এক লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় অর্থনেতিক মন্থরতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে বলেই আশাবাদী অর্থমন্ত্রকের কর্তারা। মন্ত্রক জানিয়েছে, নভেম্বরে আদায় হওয়া মোট জিএসটির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রের জিএসটি ১৯ হাজার ৫৯২ কোটি, রাজ্যগুলির জিএসটি ২৭ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। তা ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি ৪৯ হাজার ২৮ কোটি টাকা (এর মধ্যে আবার আমদানি থেকে জিএসটি বাবদ আয় ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা)। রয়েছে আমদানি সেস থেকে ৮৬৯ কোটি-সহ মোট সেস থেকে আয় ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।
আরও পডু়ন: প্রার্থী দিয়েও পিছু হঠল বিজেপি, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহারাষ্ট্রের স্পিকার হলেন নানা পাটোল
আরও পড়ুন: পাতিপুকুরে বিদ্যুতের খুঁটিতে চড়ে ঘুমিয়ে পড়লেন যুবক, নাজেহাল পুলিশ-দমকল
জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে গত প্রায় আড়াই বছরে সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছিল এ বছরের এপ্রিলে— ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা। ১ লক্ষ ৬ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছিল এ বছরের মার্চে, যা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর নভেম্বরের এই পরিমাণ জিএসটি আদায় তৃতীয় স্থানে।